সংক্ষিপ্ত
গবেষকরা অনুমান করেছেন যে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৩৫ মিলিয়ন বা ৩.৫ কোটি পৌঁছতে পারে। গত দশকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতেও এই গুরুতর এবং মারাত্মক রোগের ঘটনা বছরের পর বছর দ্রুত বাড়ছে।
ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ লোক ক্যান্সারের কারণে মারা যান। সম্প্রতি এক গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে এই পরিসংখ্যান ২০৫০ সালের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ক্যান্সার ডেটা অনুসারে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের আনুমানিক ২০ মিলিয়ন বা দুই কোটি নতুন কেস নির্ণয় করা হবে এবং ৯.৭ মিলিয়ন বা ৯৭ লক্ষের বেশি লোক মারা যাবে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা অনুমান করেছেন যে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৩৫ মিলিয়ন বা ৩.৫ কোটি পৌঁছতে পারে। গত দশকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতেও এই গুরুতর এবং মারাত্মক রোগের ঘটনা বছরের পর বছর দ্রুত বাড়ছে।
যদিও প্রযুক্তি এবং ওষুধের আবিষ্কারের কারণে ক্যান্সার এখন আর নিরাময় অযোগ্য রোগ নয়, তবুও চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনও সাধারণ মানুষের কাছে আকাশের চাঁদ ধরার সামিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন ভারতে ক্যান্সারের প্রকোপ আন্তর্জাতিক হারের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক এক গবেষণার প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেছেন, দেশে যে গতিতে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে তা এখন বিশ্বের নতুন 'ক্যান্সারের রাজধানী'তে পরিণত হয়েছে।
ভারত "বিশ্বের ক্যান্সার রাজধানী"
সম্প্রতি প্রকাশিত নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি) সংক্রান্ত তথ্য জানাচ্ছে যে দেশে ক্যান্সারের ঘটনা যে স্তরে বাড়ছে তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী হারকে ছাড়িয়ে ভারত "ক্যান্সার ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড" হয়ে উঠেছে।
দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়া জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে ২০২০ সালে প্রায় ১২ লক্ষ নতুন ক্যান্সারের ঘটনা এবং ৯.৩ লক্ষ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, যা সেই বছর এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যান্সারের হার। গবেষকরা বলছেন, এই দশকের শেষ নাগাদ দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ১২ শতাংশ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।