ভয়ঙ্কর চাঁদিপুরা ভাইরাসে কাঁপছে গুজরাট- ৬ শিশুর মৃত্যু , জানুন রোগের উপসর্গগুলি
চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV ইতিমধ্যেই গুজরাটের ৬টি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ভারত ও পশ্চিম আফ্রিকায় এক ধরনের মাছি থেকেই এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV
১০ জুলাই থেকে ভাইরাল সংক্রমণে ৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে গুজরাটে। কারণ হিসেবে গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV কেই দায়ী করেছেন। যদিও আরও পরীক্ষার পরই বিষয়টা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন।
প্রকোপ বাড়েছে
গুজরাট প্রশাসন জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১২জন আক্রান্ত হয়েছে অজানা রোগে। ১২জনোর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। সব মিলিয়ে চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। তারই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কী এই মারণ ভাইরাস।
কী চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV
চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV হল Rhabdoviridae পরিবারের সদস্য। যেটি এনসেফালিটিক অসুস্থতার সঙ্গে যুক্ত। মানুষের মস্তিষ্কের প্রদাহ হিসেবেই প্রকাশ পায়।
প্রথম সংক্রমণ
চাঁদিপুরা ভেসিকুলোভাইরাস বা CHPV প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ১৯৬৫ মহারাষ্ট্রের চাঁদুপুরা গ্রামে দুই রোগীর রক্তে থেকে প্রথম এটি শনাক্ত করা হয়েছিল। তাই এই জাতীয় নামকরণ।
সংক্রমণের কারণ
চাঁদিপুরা ভাইরাস মশা, টিক্স, স্যান্ড ফ্লাই বা বলিমাছি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। চাঁদিপুর ভাইরাস সবথেকে বেশি ছড়ায় বলিমাছি থেকে।
উপসর্গ
চাঁদিপুরা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ হল জ্বর আর ফ্লুর মত সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময় কোমায় চলে যায় আক্রান্ত। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না। ভারতের বাইরে কোনও আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
২০০৩এ মারাত্মক আকার
২০০৩ সালে চাঁদিপুর ভাইরাস মারাত্মক আকার নিয়েছিল। মহারাষ্ট্রে ৩২৯জন শিশু আক্রান্ত হয়েছিল। যারমধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১৮৩ জনের।
ভয়ঙ্কর ভাইরাস
চাঁদিপুরা ভাইরাসে ৫০ শতাংশের বেশি মৃত্যুর হার রেকর্ড করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রচুর নজরদারী প্রয়োজন।
বর্ষাকালে প্রকোপ বাড়ে
বিশেষজ্ঞদের কথায় বর্ষাকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। মশাবাহিত রোগ হলেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।