সংক্ষিপ্ত

দৌড়ানো শরীরের জন্য খুবই উপকারী, তবে এর সুবিধা দৌড়ানোর সময়ের উপর নির্ভর করে। সকালে দৌড়ালে বিপাক হার বৃদ্ধি পায় এবং মন ভালো থাকে, অন্যদিকে সন্ধ্যায় মানসিক চাপ কমে ও ওয়ার্ম আপের প্রয়োজন কম হয়।

রোজ কিছুক্ষণ করে দৌড়ানো যেকোনো ধরনের শরীরচর্চার থেকে আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো। ওজন কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, এমনকি কোনো কিছু শেখার জন্য দৃঢ় দক্ষ করে তুলতে সাহায্য করে। তবে এই সমস্ত সুবিধা দৌড়ানোর সময়ের উপর নির্ভর করে। তাহলে দৌড়ানোর সেরা সময় কোনটি? কিভাবেই বা হাঁটাহাঁটি করবেন আসুন জেনে নিন।

কীভাবে হাঁটাহাঁটি করা যায়?

নিয়মিত শরীরচর্চা বা জগিং করা ছাড়াও যেসময় গুলো আপনার একটু হাঁটাহাঁটি করা উচিত সেবিষয়ে জেনে রাখা দরকার। খাওয়ার পরে হজম ভাল রাখতে ১০ - ১৫ মিনিট হাঁটুন, এতে আপনার বিপাক হার বৃদ্ধি পাবে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। খাওয়ার পর এই ১০ - ১৫ মিনিট অনেকে জোরে হাঁটেন আবার অনেকে আসতে ধীরে ঘুরে বেড়ান, অনেকে আবার ভরপেট খেয়ে হাঁটতে পারেন না, শরীরে অস্বস্তি হয়। সে ক্ষেত্রে খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে হাঁটাহাঁটি শুরু করুন। একটানা অল্পক্ষণ হাঁটার পরে একটু থামুন, জল খান, আবার হাঁটুন। আসলে বেশি জোরে হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তাঁরা ধীরে না হাঁটলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে।

শুধু হাঁটাহাঁটি নয়, হাঁটার সময়ে নজর দিতে হবে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসেও। হাঁটার সময়ে নাক দিয়ে গভীর বড়ো শ্বাস টেনে মুখ দিয়ে তা ছাড়তে হবে। হাঁটার সাথে শ্বাস -প্রশ্বাসের এই রকম অভ্যাস করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হার্ট ভাল থাকে।

সকালে/ভোরে দৌড়োনোর সুবিধা :

১. আপনার বিপাক হার বৃদ্ধি করে: সকালে হালকা শরীরচর্চা বা দৌড়নোর পরে দিন শুরু করলে আপনার বিপাকক্রিয়া দ্রুত শুরু হতে পারে, যা আপনাকে সারাদিন আরও বেশি শোষিত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। এতে ওজন হ্রাস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে উপকার মিলবে।

২. ধারাবাহিক রুটিন: সকালে দৌড়নো একটি ধারাবাহিক শরীরচর্চার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সব কাজ শুরুর আগে নিয়মিত দৌড়োনো বা হাঁটাহাঁটি সেরে নিলে কোনোদিন সময়ের অভাবে বাদ যাওয়ার চিন্তা থাকবে না।

৩. মন ভালো রাখে এবং ঝরঝরে রাখে শরীর : ব্যায়াম এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে, যাকে "হ্যাপি হরমোন" বলে। এই হরমোন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিঃসরণ হলে আপনার বাকি দিনটা ইতিবাচক খোঁজমেজাজে কাটতে পারে। অনেকে দৌড়োনোর পরে অনেক বেশি মনোযোগী বোধ করেন।

সূর্যাস্তের পরে দৌড়োনোর সুবিধা :

১. মানসিক চাপ থেকে মুক্তি: দিনের পর মানসিক চাপ কমানোর জন্য সূর্যাস্তের পরে দৌড়োতে যাওয়া একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। এটি আপনার মনকে পরিষ্কার করতে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে।

২. ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা কম: বিকেলে বা সন্ধ্যায় দৌড়নো বা জগিং করলে সারাদিনের সক্রিয়তার ফলে ওয়ার্ম আপের প্রয়োজনীয়তা কম হয়। আলিস্য বদ কম থাকায় অনেক্ষণ এবং ভারী মাপের শরীরচর্চা করা যায়।

৩. নমনীয় সময়সূচী: সন্ধ্যায় দৌড়ানো অপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং দীর্ঘায়িত ব্যায়ামের সুযোগ করে দেয়। দিন শুরু করে কাজের তাড়া থাকে না। মনোযোগো দিয়ে ভালো ব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যায়।