সংক্ষিপ্ত

মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে শরীরে আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে, যেমন কথা বলতে অসুবিধা এবং পক্ষাঘাত ইত্যাদি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রচণ্ড সমস্যায় থাকেন, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া ইত্যাদিও এই রোগের লক্ষণ।

 

ব্রেইন টিউমার একটি বিপজ্জনক রোগ, যার কারণে ক্যান্সার হওয়ার ভয় সব সময় থাকে। ব্রেন টিউমার মানে মস্তিষ্কের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। সব ব্রেইন টিউমার ক্যান্সার নয়। তবে, মস্তিষ্কের ক্যান্সার টিউমার থেকেই ঘটে। মস্তিষ্কের টিউমারে, কোষগুলি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা জীবনের জন্য হুমকিও হতে পারে। মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে শরীরে আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে, যেমন কথা বলতে অসুবিধা এবং পক্ষাঘাত ইত্যাদি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রচণ্ড সমস্যায় থাকেন, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া ইত্যাদিও এই রোগের লক্ষণ।

চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গিয়েছে কারও কারও ব্রেন টিউমারের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে কিছু মানুষের মধ্যে অনেক বিপজ্জনক লক্ষণ দেখা যায়। ব্রেন টিউমারের কিছু উপসর্গ আছে যেগুলোকে আমরা ছোটখাটো সমস্যা ভেবে ভুল করে থাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিপজ্জনক কারণগুলির কথা, যেগুলির কারণে ব্রেন টিউমার রোগের ঝুঁকি হতে পারে।

মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকির কারণ-

মোবাইলের ক্রমাগত ব্যবহার

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং মানুষের ব্রেন টিউমারের বিকাশের মধ্যে সম্পর্কের প্রমাণ রয়েছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে মোবাইল ফোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত করে, যা মানুষের জন্য কার্সিনোজেনিক, অর্থাৎ এটি ক্যান্সারের কারণ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে আপনি হ্যান্ডস-ফ্রি, ওয়্যারলেস ডিভাইস যেমন হেডফোন বা স্পীকারে থাকা ফোন ব্যবহার করুন। মোবাইল থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।

রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকা-

প্রত্যেকেরই কীটনাশক, রাবার বা ভিনাইল ক্লোরাইড, তেল পণ্য এবং অন্যান্য শিল্প যৌগের মতো রাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ এড়াতে হবে। কারণ এদের সংস্পর্শে আসার ফলে ব্রেন টিউমার হওয়ার আশঙ্কা হতে পারে।

উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাবার-

উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্য অত্যধিক খাওয়া ব্রেন টিউমারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খারাপ খাবারের ডায়েট ছাড়াও খারাপ রুটিন এবং লাইফস্টাইল যেমন ধূমপান বা ব্যায়াম না করা ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বয়স-

ব্রেন টিউমার যে কোনও বয়সে যে কারোরই হতে পারে এবং একজন মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেন টিউমার সহ অনেক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। চিকিত্সকরা বিশ্বাস করেন যে ৮৫ থেকে ৮৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে এমনটা নয় যে কোনও সাধারণ মানুষ এতে ভুগতে পারে না।

হরমোন ভারসাম্যহীনতা-

চিকিৎসকরা বলছেন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও ব্রেন টিউমারের বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেশি।