সংক্ষিপ্ত
গবেষকরা বলছেন যে, শরীরে ধূমপান করার ফলে হওয়া ক্ষতির থেকেও সাংঘাতিক ক্ষতি করতে পারে বাইপোলার ডিসঅর্ডার।
বাইপোলার ডিসঅর্ডার এমন একটি মানসিক ব্যাধি, যা সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ১ শতাংশ বা তার সামান্য বেশি জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে। সাধারণত যৌবনের সময় এর সূত্রপাত হয়। সম্প্রতি গবেষণায় ডেখা গেছে যে, বাইপোলার ডিসঅর্ডার দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি সরাসরি যুক্ত হতে পারে মৃত্যুর উচ্চ হারের সঙ্গে। তরুণ এবং কর্মজীবী বয়সের মানুষদের অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে এই মারাত্মক রোগ। গবেষকরা বলছেন যে, এই রোগটি শরীরে ধূমপান করার ফলে হওয়া ক্ষতির থেকেও সাংঘাতিক ক্ষতি করতে পারে।
গবেষকদের বর্তমান প্রমাণগুলি দেখিয়েছে যে, বাবা-মায়ের প্রারম্ভিক বাইপোলার ডিসঅর্ডার কোনও মানুষের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ। এই রোগে ব্যক্তি দু'রকম মানসিকতা একসঙ্গে নিয়ে বাঁচেন। কখনও তিনি প্রচণ্ড উৎফুল্ল, আবার কখনও ব্যাপকভাবে বিমর্ষ হয়ে পড়েন, যেখান থেকে সরাসরি আত্মহত্যা করার মতো ঝুঁকি নেওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। ছোটবেলায় অতিরিক্ত মারধর, বা যৌন নিপীড়ন , বয়স বাড়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ভয়, ইত্যাদি থেকে এই রোগ তৈরি হতে পারে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল সাইকিয়াট্রি হেলথে এই নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। সেখানে বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন এবং ধুম্রপানে আসক্ত, এমন দুই ধরনের ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাঁদের বাইপোলার সমস্যা নেই, তাঁদের মৃত্যুর হার কম। তুলনায় যাদের বাইপোলার রয়েছে, তাদের মৃত্যুর হার ৪-৫ গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সঙ্গে অন্য রোগেরও তুলনা করা হয়েছে। যেমন ধূমপানে মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করে বাইপোলারের ভয়াবহতা দেখিয়েছেন গবেষকরা।
যে দলটি ধূমপান করে, তাদের মৃত্যুর হার যে দলটি ধূমপান করে না, তাদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। অন্যদিকে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের মৃত্যুর হার ৬০ বছরের কম বয়সিদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। ফলে এই দুই তুলনামূলক পরীক্ষার নিরিখেও বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগটি অধিক ক্ষতিকর।