সংক্ষিপ্ত

এই মাইগ্রেন, অল্পবয়সি থেকে মধ্যবয়সি হয়ে বেশিবয়সি প্রত্যেককেই জীবনভর ভোগাতে পারে। মাইগ্রেন সাধারণত, কিছুদিন অন্তর অন্তর ফিরে আসে। তাই যাঁরা এই রোগ ভোগেন, তাঁরা এর পূর্বাভাস টের পান।

আজকের লাইফস্টাইল এবং ব্যস্ত রুটিনের কারণে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তখন প্রচণ্ড মাথাব্যথার কারণে কোনো কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। মাইগ্রেনকে আগে চালু বাংলায় বলা হত আধকপালী। কারণ, মাথার এই যন্ত্রণা সাধারণত পুরো মাথা জুড়ে হয় না। কখনও শুধু বাঁদিকে, কখনও-বা ডানদিকে। মানে, যে কোনও একপাশ জুড়ে শুরু হয় দপদপানি। তীব্র থেকে অতি তীব্র। সেইসঙ্গে বমিভাব, চোখে দেখতে অসুবিধে, আলো ও শব্দ অসহ্য লাগা, খিদে কমে যাওয়া এমনকি চোখের যন্ত্রণার মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

এই মাইগ্রেন, অল্পবয়সি থেকে মধ্যবয়সি হয়ে বেশিবয়সি প্রত্যেককেই জীবনভর ভোগাতে পারে। মাইগ্রেন সাধারণত, কিছুদিন অন্তর অন্তর ফিরে আসে। তাই যাঁরা এই রোগ ভোগেন, তাঁরা এর পূর্বাভাস টের পান।

এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু পাউডার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের ব্যথায় উপশম দেয়, যার সাহায্যে আপনি সহজেই তীব্র থেকে তীব্র মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই গুঁড়ো খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের উপশম পাওয়া যায়, তাহলে চলুন জেনে নেই কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

মাইগ্রেনের ঘরোয়া প্রতিকার

প্রথম টোটকা

এর জন্য ধনে, চিনি ও ১০ গ্রাম মৌরি একসঙ্গে পিষে গুঁড়ো তৈরি করুন। তারপর আপনি এক গ্রাম এই গুঁড়ো দিনে ৩ বার জলের সাথে খান। এতে আপনার মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে।

দ্বিতীয় টোটকা

এজন্য এক গ্লাস হালকা গরম জলে সামান্য লবঙ্গ গুঁড়ো মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন। তারপর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই জল পান করুন। এই টোটকাটি দিয়ে, আপনার দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবে।

মাইগ্রেনের কারণ

ক্যাফিনের অত্যধিক ব্যবহার

পিরিয়ডের অনিয়ম বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ

হরমোনের পরিবর্তন

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া

খাবার এড়িয়ে যাওয়া

অতিরিক্ত ধূমপান

অতিরিক্ত স্ট্রেস

শক্তিশালী সুগন্ধি

যেসব খাবার মাইগ্রেন বাড়ায়

ঘুমের ধরণে পরিবর্তন, চকলেট, দুগ্ধজাত পণ্য, অ্যাভোকাডো, কলা, সাইট্রাস ফল, ডুমুর এবং কিছু লেবু, বেকন, হট ডগ, পেঁয়াজ ইত্যাদি খাবার মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেন বেশি দেখা যায়। আজকের ছুটন্ত জীবনে, যেখানে একটুও দম ফেলার ফুরসত নেই, সেখানে মানসিক চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেন দেখা যায়। অতিরিক্ত শ্রম, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, ঘুম কম বা বেশি হওয়া, এই সবকিছু থেকেই মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে বলে মনে করেন ডাক্তাররা। এর যন্ত্রণায় রোগী নির্জন অন্ধকারে একাকী কিছুটা বিশ্রাম নিলে আরাম পেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ শব্দদূষণের মধ্যে থাকলেও মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন ডাক্তাররা। রোগটিতে কেউ মারা না যান না ঠিকই, কিন্তু কাজকর্ম পণ্ড করে দেওযার পক্ষে যথেষ্ট এই মাইগ্রেন।