- Home
- Lifestyle
- Health
- Paracetamol: মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খেয়ে ব্যথা কমাচ্ছেন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খেসারত দিতে হতে পারে দ্বিগুণ
Paracetamol: মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খেয়ে ব্যথা কমাচ্ছেন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় খেসারত দিতে হতে পারে দ্বিগুণ
- FB
- TW
- Linkdin
জ্বর হোক, অথবা অসহ্য মাথার যন্ত্রণা, শরীরের সমস্ত ব্যথা-বেদনা থেকে সহজেই মুক্তি দেয় প্যারাসিটামল। রোগ হলে আমরা সাধারণত শরীরকে বেশি সমস্য দিতে পারি না। তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াবার জন্য ওষুধ খেয়ে কাজে লেগে পড়তে চাই।
এই ব্যস্ত শিডিউলের কারণে, আমাদের সহায়ক হয় প্যারাসিটামল। কঠিন থেকে কঠিনতর অসুখ হলেও অনেক মানুষই জ্বর হওয়ামাত্র প্যারাসিটামলের সাহায্য নিয়ে থাকেন।
ঘনঘন প্যারাসিটামল খেলেই বাজতে পারে শরীরের বারোটা। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া বারবার প্যারাসিটামল খাওয়া কতটা সুরক্ষিত, জানেন কি?
মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে দেখা দিতে পারে তলপেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তিজনিত বিবিধ সমস্যা।
বহু ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দেয়। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে প্রবল রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
বেশিমাত্রায় প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে লিভার ও কিডনির উপরেও চাপ তৈরি হয়। যার প্রভাবে প্রস্রাব হলুদ হওয়া, চোখ হলদে হয়ে যাওয়া, শরীর নীল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্যারাসিটামল একটি নিরাপদ ওষুধ। তবে, এটি খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট ডোজ় রয়েছে।
দেহে ওজন অনুযায়ী দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রামের বেশি প্যারসিটামল খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া দিনে ৬ ঘণ্টা অন্তর আপনি প্যারসিটামল খেতে পারেন।
পর পর দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত প্যারসিটামল খাওয়ার পরেও যদি জ্বর না কমে, তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।