সংক্ষিপ্ত

গরমকালের মধ্যেই পড়েছে পবিত্র রমজান মাস। গরমকালে দীর্ঘ উপহাসের কারণে নিজেকে হাইড্রেন্ট রাখা কিছুটা হলেও কঠিন। তাই যারা রোজার উপবাস রাখবেন তাদের নিজেদের শরীর নিয়ে সতর্ক থাকা অত্যান্ত জরুরি।

 

মুসলিমদের পবিত্র মাস হিসেবেই পরিচিত রমজান মাস। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এই সময় সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত উপবাস করেন। সকালে আহার করেন। তারপর গোটা দিনের মতই উপবাস। সন্ধ্যের সময় প্রার্থনার পরেই রোজার উপবাস ভঙ্গ করেন। এই একটি মাস মানুষের খাওয়া ও ঘুমের নিয়ম বদলে যায়। শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনও হয়। তাই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই সময়টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করা হয়। চলতি বছর রমজান মাস শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ থেকে।

বলা যেতে পারে গরমকালের মধ্যেই পড়েছে পবিত্র রমজান মাস। গরমকালে দীর্ঘ উপহাসের কারণে নিজেকে হাইড্রেন্ট রাখা কিছুটা হলেও কঠিন। তাই যারা রোজার উপবাস রাখবেন তাদের নিজেদের শরীর নিয়ে সতর্ক থাকা অত্যান্ত জরুরি। তাঁর গরমের মধ্যে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকা অত্যাবশ্যক। আর সেই সময় রোজার উপবাস শুরু আগে আর উপবাস ভঙ্গের পরে আপনি কি কি খাবেন আর খাবেন না তা ঠিক করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মূল কথাই হল এই এক মাস উপবাস করেও সুস্থ থাকা।

রমজানে পুষ্ঠির চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনঃ

রমজান মাসে যারা রোজার পালন করেন তাদের পুষ্ঠির চাহিদা মেটাতে শরীরের প্রয়োজনে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ লবণ থাকে এমন খাবার ও পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন। তবে ভুলেও রোজার ব্রত পালনের আগেই প্রচুর খাবার খাবেন না। আপনার শরীর ঠিক যতটা খাবার গ্রহণ করতে পারে ততটাই আপনি খাবেন। কম খেলে যেমন দুর্বলতা বাড়ে তেমনই অতিরিক্ত খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। তেমনই

পরিমাণ মত জল-

রমজানের সময় প্রতি পূর্ণবয়স্কদের জন্য দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পানের প্রয়োজন রয়েছে। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর দুই গ্লাস জল খেতে হবে। অনেকেই রোজা পালনের সময় জল খান না। কিন্তু দীর্ঘ সময় জল না খেলে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। দিনের বেলা মাথা ঘোরার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় জল খাওয়া জরুরি।

রমজানের খাবার-

উপবাস শুরুর আগে সহজপাচ্য , স্বাস্থ্যকর ও ভারী খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সূর্যোদলের আগে দুধের তৈরি যে কোনও খাবার, তাজা শাকসবজি, পনির,ডিম, টোমেটো শসা খেতেই পারেন। রোজা শুরু আগে নিয়মিত একবাটি স্যুপ খাওয়া খুবই উপকারী। এটি শরীরে জলের চাহিদা যেমন পূর্ণ করে তেমনই অত্যান্ত স্বাস্থ্যকরও। রোজা শুরুর আগের খাবারে অবশ্যই একটি ফল রাখতে পারেন আপনার পাতে। খেজুর, আখরোট, বাদামও গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি পেটেও অনেকক্ষণ থাকে। আর প্রোটিন সমৃদ্ধ।

রোজা ভাঙার পরেঃ

রোজা উপবাস শেষ হলে অবশ্যই খেজুর খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করুন। তাহলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে না। খেজুর একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়া এই সময় কিছু ফল , সরবত খেতেই পারেন। তারপরই ভারী খাবার খান। দীর্ঘ উপবাসের পরে প্রথমেই ভারি আর গুরুপাক খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সেদ্ধ বা গ্রিল করা খাবার খাওয়া শ্রেয়। তেলের তৈরি ভাজাভুজি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আলুভাজা, সিঙ্গারা, চিপস খাবেন না।

শরীর চর্চা-

রোজার উপবাস পালন করছেন বলে সেই সময় শরীর চর্চা করবেন না- এই চিন্তাভাবনা প্রথমেই দূর করুন। রোজা পালন করা কঠিন। কিন্তু এই সময় নিয়মিত এক থেকে দেড় ঘণ্টা হাঁটার প্রয়োজন। হালকা শরীর চর্চা করতে হবে। তাহলে অস্বস্তি ও দুর্বলতা দূর হয়।

খাবেন না-

 তেলে ভাজা না খাওয়াই শ্রেয়। আর যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে সেগুলি খাবেন, তাহলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। বেশি পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার এড়িয়ে চলুন। এই সময়টা চকোলেট, কোল্ডড্রিঙ্কস একবার বর্জনীয়। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও অল্প পরিমাণে খান। তাহলে সমস্যা হবে না।