শিশুদের আঙুল চোষার অভ্যাস থাকলে আজই ছাড়ান, ভবিষত্যে হত পারে মারাত্মক ক্ষতি
আপনার সন্তানের যদি এখনও আঙুল চোষার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। অন্যথায়, এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। এই পোস্টে সেগুলি সম্পর্কে জানুন।
| Published : Nov 06 2024, 04:36 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের অনেকেরই আঙুল চোষার অভ্যাস থাকে। আপনিও এটি দেখে থাকবেন। ঘুমানোর সময়, হাঁটার সময় ইত্যাদি যখন ইচ্ছা তখন আঙুল চোষে। অনেক অভিভাবক আঙুল চোষার কারণে কী ক্ষতি হতে পারে তা না ভেবে এটিকে উপেক্ষা করেন।
কিন্তু, ডাক্তারদের মতে, ৩ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের আঙুল চোষা স্বাভাবিক। কিন্তু, ৫ বছর বয়সের পরেও যদি বাচ্চাদের আঙুল চোষার অভ্যাস থাকে তবে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, জানেন কি?
হ্যাঁ, বাচ্চাদের আঙুল চোষার অভ্যাস বেশি থাকলে তা তাদের একাকীত্ব এবং ক্ষুধার অনুভূতির কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই অভ্যাস তাদের বিভিন্ন দাঁতের সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। বাচ্চাদের আঙুল চোষার অভ্যাস তাদের বিভিন্ন সমস্যায় ফেলতে পারে।
এই অবস্থায়, বাচ্চাদের আঙুল চোষার অভ্যাস বেশি থাকলে, এর ফলে তাদের কী কী সমস্যা হতে পারে তা এই পোস্টে জেনে নিন।
বাচ্চাদের আঙুল চোষার ফলে ক্ষতি:
দাঁত ঠিকমতো বৃদ্ধি পাবে না
অনেক বাচ্চার বড় হওয়ার পরেও মুখে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস বেশি থাকে। বাচ্চাদের দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে আবার নতুন দাঁত গজায়, কিন্তু সেগুলি অসমানভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কিছু বাচ্চার এঁটো দাঁত হতে পারে। এবং এই দাঁতগুলি দুর্বল হয়।
আঙুল চোষার ফলে রক্ত প্রবাহ কমে যায়
আপনার সন্তানের যদি আঙুল চোষার অভ্যাস বড় হওয়ার পরেও থাকে, তবে আঙুল চোষার ফলে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এর ফলে আঙুল অবশ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, হাত এবং অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে।
বাচ্চার মানসিক অবস্থা প্রভাবিত হয়
বাচ্চার আঙুল চোষার অভ্যাস শুধু বাড়িতে নয়, স্কুলেও থাকলে অন্যান্য বাচ্চাদের হাসির পাত্র হতে পারে। এর ফলে বাচ্চার মানসিক অবস্থা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়।
মদ, সিগারেটের প্রতি আসক্তি
বাচ্চার আঙুল চোষার অভ্যাস থাকলে, তারা বড় হওয়ার পরেও মুখে কিছু একটা রাখতে চায়। এর ফলে তারা সিগারেট খাওয়া, মদ্যপান এবং মাদকাসক্তির মত অভ্যাসে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মনে রাখবেন:
১. আপনার সন্তানের যদি আঙুল চোষার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। তবে তাদের ক্ষতি না করে, তাদের বোধগম্য ভাষায় ভালোবাসার সাথে বলুন। ছোটবেলাতেই যদি আপনি এই অভ্যাস বন্ধ করেন, তাহলে পরবর্তীতে বাচ্চার জীবন প্রভাবিত হবে না।
২. আঙুল চোষার অভ্যাস বন্ধ করার জন্য বাচ্চাদের ভয় দেখাবেন না। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সহজভাবে বোঝান। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তাদের সাথে ভালোবাসার সাথে কথা বলে এই অভ্যাস বন্ধ করাই প্রতিটি অভিভাবকের কর্তব্য।