সংক্ষিপ্ত
মিষ্টি আলু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কোনও সাহায্য করে না। তাই ডায়েবেটিক পেশেন্টের জন্য মিষ্টি আলু মোটেও উপকারি নয়।
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি হল মিষ্টি আলু। এটি মূলত শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। আর এই সময় তাজা মিষ্টি আলু খেয়ে শরীর আরও সুস্থ করে নিতেই পারেন। তবে মিষ্টি আলু রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কোনও সাহায্য করে না। তাই ডায়েবেটিক পেশেন্টের জন্য মিষ্টি আলু মোটেও উপকারি নয়। বেশি খেলে সমস্যায় পড়তে পারে। তবে সাধারণ মানুষদের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা অত্যান্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি নানা ভাবে খওয়া যায়। চচ্চড়ি বা শুকতোতে দিয়ে মিষ্টি আলু খাওয়া যায়।
ব্লাড সুগার
তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হিসেবে কাজ করে। তাদের কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং উচ্চ ফাইবার সামগ্রী ধীর এবং স্থির হজম করতে অবদান রাখে, রক্তে শর্করার আকস্মিক স্পাইক প্রতিরোধ করে। এটি গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টাকারীদের ডায়েটে একটি মূল্যবান সংযোজন করে তোলে।
ক্যান্সারের প্রতিরোধক
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা - ক্যারোটিন ও অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন উপকারী যৌগ রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্ষতিকারণ ফ্রি ব়্যাডিক্যালগুলি দূরে রাখতে পারে। এটি ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কাজ করে। আপনি আপনার খাবারে মিষ্টি আলু রাখলে উপকার পাবেন।
পুষ্টি
মিষ্টি আলু হজমের সহায়ক। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি রয়েছে। এটিতে পটাসিয়ামের মত খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা ইলেক্ট্রোলাইটের স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
মিষ্টি আলুর সুস্বাদু রেসিপি
মিষ্টি আলু তরকারি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি এটি ভাজাও খাওয়া যায়। মিষ্টি আলুর স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। যে কোনও মিষ্টি আলু দিয়ে নানা ধরনের মিষ্টি তৈরি করা যেতে পারে। এটি বেকড, স্টিমড বা রোস্টেড করেও খাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ
Astro Tips:প্রেমে বিচ্ছেদ মোকাবিলায় রইল জ্যোতিষ টিপস, সহজেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার উপায়
Dengue:ডেঙ্গু থেকে সুস্থ এই খাবারগুলি নিয়মিত পাতে রাখুন, দ্রুত প্লেটলেট বাড়িয়ে সুস্থ করে দেবে