কোভিডের পর আবার মহামরীর কালো ছায়া বিশ্বে? যক্ষ্মা নিয়ে অশনি সংকেত দেখছে WHO
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা
করোনা ভাইরাস (COVID-19)-এর পরে আবারও নতুন করে কী বাড়ছে মারাত্মক রোগ যক্ষ্মা? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)র সতর্কতায় নতুন করে বাড়ছে সেই আশঙ্কা।
যক্ষ্মায় আক্রান্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে গত বছর ৪ মিলিয়নেরও বেশি লোক যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর থেকেই এই রোগ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা বাড়ছে।
চ্যালেঞ্জের মুখে যক্ষ্মা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে এই রোগে নুর্মূল করার বিশ্বব্যাপী কর্মকাণ্ড চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছিল করোনা ভাইরাসের করণে।
২০২৩ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ২০২৩ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা করোনা ভাইরাসকেও ছাড়িয়ে গেছে।
যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর ১.২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন। কোভিড মহামারি শেষ হওয়ার পরে যক্ষ্মাই সংক্রম রোগে মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে।
HIVকে টেক্কা
২০২৩ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু HIVকেও চেক্কা দিয়েছে। HIV-এর থেকে প্রায় দ্বিগুণ ছিল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
যক্ষ্মা বাড়ছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যক্ষ্মা বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। যার অর্থ ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। পিছিয়ে নেই চিনও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের বার্তা
টেড্রাস আধনাম ঘেব্রইসাস একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, যক্ষ্মা সংক্রণ বাড়ছে। অনেকেই মারা গিয়েছে। অসুস্থ হয়েছে। কিন্তু এটি সনাক্ত করার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা হাতের নাগালেই রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা
সংস্থাটি জানিয়েছে গত বছর ৪০ হাজারের মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এদের অধিকাংশই বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে।
যক্ষ্মার কারণ
যক্ষ্মা বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা বেশিরভাগ ফুসফুসে আক্রমণ করে। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশের যক্ষ্মা আছে বলে মনে করা হয়, তবে মাত্র ৫-১০ শতাংশের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়।