সংক্ষিপ্ত

মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা রয়েছে যে বেশিরভাগ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন কারণ তাদের হৃদপিণ্ডের ধমনী ছোট। এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা বলতে চাই যে এরকম কিছু নেই। ভুল জীবনযাপন, ব্যায়াম না করার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

 

কার্ডিওলজি ও রেডিওলজি বিভাগের গবেষকদের একাংশ, ভারতীয়দের সম্পর্কে এক অদ্ভুত তথ্য জানিয়েছেন। স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ জেপিএস সাহনি বলেছেন, এক গবেষণার মাধ্যমে আমরা এমন কিছু তথ্য পাই জনগণের সামনে তুলে ধরতে চাই।

সাহনি আরও বলেন, 'হৃদরোগ নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে একটা মিথ আছে, যা আমরা এই গবেষণার মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করেছি। দীর্ঘদিন ধরে, মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা রয়েছে যে বেশিরভাগ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন কারণ তাদের হৃদপিণ্ডের ধমনী ছোট। এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা বলতে চাই যে এরকম কিছু নেই। ভুল জীবনযাপন, ব্যায়াম না করার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

ছোট ধমনীর আকার কি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

এই গবেষণার আওতায় ২৫০ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এসব রোগীর ধমনীর আকার ছোট ছিল এবং তারা সবাই হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২৫০ রোগীর উপর করা এই গবেষণাটি 'জার্নাল অফ ইন্ডিয়ান কলেজ অফ কার্ডিওলজি'-এ প্রকাশিত হয়েছে।

ডাঃ জেপিএস সাহনি যিনি স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং এই জার্নালের প্রধান লেখক। তিনি বলেন, এই গবেষণায় দেখা গেছে এই ২৫০ জনের মধ্যে ৫১ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ, ১৮ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী, ৪শতাংশ ধূমপায়ী। ২৮ শতাংশ ডিস্লিপে়েমিক ছিল, এবং ২৬ শতাংশ পারিবারিক হৃদরোগের রোগী ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া অনিবার্য।

আরও পড়ুন- সকালে ৪টে করে ভেজানো খেজুর, ম্যাজিকের মত ১৪টি বিষয়ে অব্যর্থ কাজ দেবে, জেনে নিন কী কী

আরও পড়ুন-  যদি ব্ল্যাক কফির শৌখিন হন তবে সতর্ক থাকুন, এটি আপনার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে

আরও পড়ুন- এই ৫টি জিনিস কিডনির জন্য বিষের মতো, আজই ডায়েট থেকে বাদ দিন এগুলি

স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের লেখক এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ অশ্বিনী মেহতা বলেন, “গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে ভারতীয় পুরুষদের ধমনী মহিলাদের তুলনায় বড়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক বেশি পুরুষেরই হয়। হৃদপিণ্ডের আকার বা ধমনীর আকার কী তা বিবেচ্য নয়। ভারতীয়রা এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয় কারণ তাদের হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে চর্বি জমা হয় এবং এটি খারাপ জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।