সংক্ষিপ্ত

  • ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হলে, সে রোগ থেকে রেহাই পাওয়া মোটেই সহজ নয়
  •  প্রথম প্রথম খাওয়া দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ ও ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা যায়
  • কিন্তু বয়সের উপর নির্ভর করে ডায়াবেটিস এমন জায়গায়ও পৌঁছতে পারে
  •  যখন রোগীকে ইনসুলিন দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে

ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হলে, সে রোগ থেকে রেহাই পাওয়া মোটেই সহজ নয়। প্রথম প্রথম খাওয়া দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ ও ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা যায়। কিন্তু বয়সের উপর নির্ভর করে ডায়াবেটিস এমন জায়গায়ও পৌঁছতে পারে, যখন রোগীকে ইনসুলিন দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আসলে যখন প্যানক্রিয়াস থেকে কোনও ভাবেই আর ইনসুলিন বেরোয় না., তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু ইনসুনিল নেওয়া মানেই যে খুব খারাপ পর্যায় রোগী চলে গিয়েছে  তা কিন্তু নয়। 

ইনসুলিন নিয়ে এমনই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে আবার মনে করেন, ইনসুলিনের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে আবার মনে করেন ইনসুলিন নিলে যা খুশি খাবার খাওয়া যায়। খাওয়া দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না করলেও চলে। 

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় এই ৬টি খাবার ভুলেও খাবেন না! চিকিৎসকরা সাবধান করছেন

ইনসুলিন সম্পর্কে এমনই বেশ কিছু তথ্য জেনে নিন- 

১) রোগীকে যদি চিকিৎসক ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন, তা হলে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু অকারণে যাতে কেউ ইনসুলিন না নেয়, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। 

২) ইনসুলিন নিলে ওজন বেড়ে যায়। তাই ইনসুলিন নেওয়া শুরু করলে শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। 

৩) ইনসুলিন নিলেও খাবারে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। ডায়াবিটিস থেকে হৃদরোগ ও কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে খাবারে লো ফ্যাট খাবার রাখুন। 

৪) অনেকের ধারণা ইনসুলিন নেওয়া শুরু করলে তা আর বন্ধ করা যায় না। ইনসুলিন নিয়ে ভাল থাকলে তা বন্ধ করার প্রসঙ্গ আসছে না। কিন্তু প্রয়োজনে চিকিৎসক বললে ক্ষেত্রবিশেষে বন্ধ করা যায়। 

৫) ইনসুলিন যাঁরা নেন, তাঁরা অবশ্যই বাড়িতে গ্লুকোমিটার রাখুন। প্রতিবার ইনসুলিন নেওয়ার আগে গ্লুকোমিটারে মেপে নিন। 

৬) ইনসুলিন অবশ্যই ফ্রিজে রাখুন। কিন্তু ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না। 

৭) ডায়াবেটিসের রোগীদের অনেক সময়ে সুগার লেভেল নেমে গেলেও  সমস্যায় পড়তে হয়। তাই বাড়িতে লজেন্স রাখুন।