সংক্ষিপ্ত

মারণ ভাইরাস আটকাতে সকলেই মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কীভাবে ঠেকানো যাবে এই ভাইরাসকে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা সকলের। একটাই উপায় এই করোনা ভাইরাস আটকানোর সেটা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। তাই বাড়িতে থেকে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হবে এই সময়ে। তাই বলে শুয়ে বসে নয়,ঠিকমতো ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চাই এর একমাত্র ওষুধ। আর যারা মালাইকার মতো কার্ভস পেতে চান, তারাও নিয়ম করে ফলো করুন এই ফিটনেস রেজিম।

মারণ ভাইরাস আটকাতে সকলেই মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কীভাবে ঠেকানো যাবে এই ভাইরাসকে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা সকলের। একটাই উপায় এই করোনা ভাইরাস আটকানোর সেটা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। তাই বাড়িতে থেকে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হবে এই সময়ে। তাই বলে শুয়ে বসে নয়,ঠিকমতো ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চাই এর একমাত্র ওষুধ। আর যারা মালাইকার মতো কার্ভস পেতে চান, তারাও নিয়ম করে ফলো করুন এই ফিটনেস রেজিম। সারাদিন এদিক-ওদিক করে সময় নষ্ট না করে নির্দিষ্ট সময় মেনে শরীরচর্চা করুন। ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সব কিছুই নিয়ম মেনে করুন। শরীরকে ফিট রাখতে মেদ ঝরানোর জন্য কতটা ফিট থাকতে হবে তা সবার আগে জেনে নিন নিজেই।

ফিট থাকতে হলে সবার আগে প্রতিদিন  অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ব্যায়াম করা মাস্ট। প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম এবং দেড় ঘণ্টা ভারী বা ইনটেনসিভ এক্সারসাইজ অবশ্যই করতে হবে। এছাড়াও মাসলের জোর বাড়ে এমন ধরনের বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা সপ্তাহে অন্তত দু-দিন করা জরুরি। বাকি সময়টাতেও কোনও না কোনও কাজে নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন।এতেও অনেকটা ক্যালরি বার্ন হবে। যারা নাচ করতে ভালবাসেন তারা ঘরের মধ্যে কিছুটা সময় জোরে মিউজিক চালিয়ে নাচ করে নিন। এতেও ক্যালরি কমবে।বিকেলে বাড়ির ছাদে বা পাশাপাশি কোনও পার্ক থাকলে সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ জগিং করে নিন এতেও বাড়তি মেদ কমবে। তবে যাই করুন না কেন অবশ্যই দূরত্ব বজায় রেখে করবেন। 

 

ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার অভ্যেস সবার আগে পরিবর্তন করতে হবে।  প্রাথমিক কিছু নিয়ম থাকলেই ওজন থাকবে বশে। প্রথমত, কাঁটা চামচ ও চামচ দিয়ে খাওয়া যায় এমন খাওয়ার খেতে হবে। কারণ চামচ দিয়ে খাবার খেলে খাবারের পরিমাণ কম ওঠে। যার ফলে খাবারও কম খাওয়া হয়। রাতের বেলা খাবার খাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল খান। তাতে খেতে বসার পর অনেকটা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। যে প্লেটে সবসময় খাবার খান সেই প্লেটের আকার যদি বড় থাকে তাহলে তা ছোট করুন। ছোট প্লেট হলে খাবারের পরিমাণও কম ধরবে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই খিদেও কম পাবে। খাবারের শেষ পাতে ডেজার্ট খাওয়ার ইচ্ছেই রাশ টানুন। সপ্তাহে একদিনের জন্য বজায় রাখুন সেই শখ। ডেজার্ট শরীরের জন্য কতটা ক্ষতি করে তা সবারই জানা। তাই যারা শেষপাতে মিষ্টি খান সেটা সবার আগে বন্ধ করে দিন। অনেকক্ষণ খিদে চেপে রাখলেই খাওয়ার সময় বেশি খিদে পেয়ে যায়। তাই খিদে না চেপে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খান। তবে যখনই পাবেন পেটে খিদে রেখে খান। রাতের বেলা স্ন্যাক্স একদমই এড়িয়ে চলুন।  ঘুমোতে যাবার অন্তত ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এতে শরীরের হজম ক্ষমতাও ঠিক থাকবে।খাবার কম খেতে হবে বলে খাবার খাবেন না এটা ভুল করেও করবেন না। বরং খালি পেটে থাকলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। কাজেই খেতে যেমন হবে তার পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে। শুধু খেলেই হল না খাওয়ারের পাশাপাশি শরীরচর্চা কিন্তু মাস্ট। তাই খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে। মালাইকার মতো কার্ভস পেতে অবশ্যই নিয়ম করে ফলো করুন এই ফিটনেস রেজিম।