সংক্ষিপ্ত
- বয়ঃসন্ধির সময়টা খুবই দুশ্চিন্তার
- বয়ঃসন্ধির সময়কালে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়
- এই সময়টাতে সন্তানদের মধ্যে স্বাধীনচেতা মনোভাব তৈরি হয়
- অতিরিক্ত শাসন ওদের মানসিক বুদ্ধিতে বাধা দেয়
বয়ঃসন্ধির সময়টা খুবই দুশ্চিন্তার। ১২-১৩ বছর সন্তানের বয়স পেরিয়েব গেলেই হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাবা-মাকে। এই সময়টাতে বাবা-মায়ের কাছে সন্তানরা অনেকটাই রহস্যময় হয়ে ওঠে। কারণ এই সময়টাতে সন্তানদের মধ্যে স্বাধীনচেতা মনোভাব তৈরি হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
আরও পড়ুন-ঘরে বসেই অ্যালার্জির সমাধান, জেনে নিন প্রতিকারের উপায়...
বয়ঃসন্ধির সমস্যা
বয়ঃসন্ধির সময়কালে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে শরীরে দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। এই সময়টাতে স্বাধীনচেতা মনোভাব থাকে সমস্ত বাচ্চাদের মধ্যে। সামাজিক ও আর্থিক নির্ভরতা থেকে আপেক্ষিক স্বনির্ভরতা বেশি দেখা যায়। অন্য লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট ও এই সময়ে।
আরও পড়ুন-গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসের শিকার, সমস্যা সমাধানে রইল কিছু সহজ টিপস...
বয়ঃসন্ধির সমস্যা কাটাতে বাবা-মায়ের কী করণীয়
১২-১৩ বছর বয়সের যেহেতু বোধশক্তি পূর্ণতা পায় না তাই এই সময়টাতে বাবা-মায়েদের সবথেকে বেশি সর্তক থাকা উচিত। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে , ওরা হাতে পায়ে বড় হলেও অপরিণত। এই সময় বাবা-মায়ের ভূমিকা হওয়া উচিত বন্ধুর মতো। এর সঙ্গে সন্তানদের আচরণ নিয়ে সর্তক থাকা উচিত। এই সময়টাতে যতটা পারবেন বন্ধুর মতো থাকা উচিত। বেশি রক্ষণশীল মনোভাব দেখালে ছেলে- মেয়েরা অনেক কিছু আড়াল করবে। এমনকী বাবা-মায়েদের থেকে তারা নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখে। এর ফলেও সমস্যা আরও বাড়ে। অতিরিক্ত শাসন ওদের মানসিক বুদ্ধিতে বাধা দেয়। বয়ঃসন্ধির এই সময়টাতে সন্তানদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সত্যিকারের বন্ধুকে এই সময় আকড়ে ধরতে চায়, আর এই বন্ধু যদি অভিভাবক হন। তাহলে এর চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না।