সংক্ষিপ্ত
- পিরিয়ডের দিনগুলো অনেকের কাছেই নরকগুলজার হয়ে ওঠে
- অনেকে হুটহাট কিছু ওষুধ খেয়ে নেয়, যা ঠিক নয়
- চাইলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এর মোকাবিলা করতে পারেন
- গরম সেঁক, আদা দিয়ে চা, মৌরি বা দারুচিনির মতো অনেক কিছুই খুব কাজে আসে
মাসের মধ্য়ে ওই ক-টা দিন সত্য়ি কাউকে কাউকে খুব ভোগায়। পেটে, তলপেটে এমনকি পিঠের ব্য়থাতেও নাজেহাল হন অনেকে। টুকটাক কিছু ওষুধ খেয়ে ম্য়ানেজ করার চেষ্টা করেন কেউ কেউ, তাতে যে খুব একটা কিছু লাভ হয় তেমনটা কিন্তু নয়। অথছ, ওই দিনগুলোতে আপনি চাইলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কিন্তু সমস্য়ার হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
গরম ভাপ খুব কাজে দেয় এই সময়ে। পিরিয়ডের সময়ে খুব বেশি ব্য়থা হলে হট ওয়াটার ব্য়াগে করে গরম জল ভরে তলপেটে চেপে রাখতে পারেন খানিক্ষণের জন্য়। তবে খেয়াল রাখবেন, ওই গরম জলের তাপমাত্রা যেন খুব বেশি না-হয়। এবার এই হট ওয়াটার ব্য়াগের ভাপ বা সেঁক নিতে পারলে আপনি কিন্তু ব্য়থার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পেতে পারেন।
আদা কিন্তু ব্য়থা কমাতে বেশ ভালো কাজে দেয়। চাইলে কাঁচা আদা নুন দিয়ে খেয়ে চা খেতে পারেন। আবার আদা দিয়ে চা তৈরি করেও খেতে পারে। মনে রাখবেন, আদার মধ্য়ে থাকা বিভিন্ন উপাদান ব্য়থা কমাতে সাহায্য় করে। সে মাথার ব্য়থাই হোক কি অন্য় কোনও ব্য়থা।
মৌরি কিন্তু শুধুই মুখসুদ্ধি নয়। পেটের বা হজমের নানা সমস্য়ায় যেমন এর ব্য়বহার রয়েছে, ঠিক তেমনই ব্য়থা কমাতেও এর ভূমিকা রয়েছে। মৌরিতে রয়েছে অ্য়ান্টিস্প্য়াসমোডিক আর অ্য়ান্টিইনফ্লেমাটরি উপাদান। যা ব্য়থা কমাতে সাহায্য় করে। চাইলে ব্য়থা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু খানি নিয়ে মুখে পুরে দিতে পারেন। আবার চাইলে ঈষদষ্ণু গরমজলে দিয়ে চায়ের মতো একটু একটু করে রসিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন, এতে আরাম পাবেন।
দারচিনিও কিন্তু কম কাজ দেয় না এই ব্য়থাতে। এতে রয়েছে নানারকম গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। ঈষদষ্ণু গরম জলে দারজিনি গুঁড়িয়ে আধ চামচ মিশিয়ে দিন। তারপর একটু একটু করে খেতে থাকুন।
আর হ্য়াঁ, এক্ষেত্রে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা ভালো। আর তার মধ্য়ে প্রথমেই রয়েছে কফি। কফি বা ক্য়াফিনসমৃদ্ধ কোনও পানীয় এই সময়ে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই পানীয়গুলো রক্ত চলাচল ব্য়াহত করে ব্য়থা বাড়িয়ে তুলতে পারে।