সংক্ষিপ্ত
- ইনফিনিক্স এস৫ প্রো লঞ্চ হল ভারতে- কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে শাওমি, রিয়ালমি , ভিভো ও অপোর সঙ্গে
- পপ-আপ সেলফি শুটার আছে এই ফোনে
- ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ রয়েছে ইনফিনিক্স এস৫ প্রো ফোনে
- ৬.৫৩ ইঞ্চি ফুল ডিসপ্লে রয়েছে
হংকং-এর সংস্থা ইনফিনিক্স লঞ্চ করেছে ভারতে তাদের নতুন ফোন ইনফিনিক্স এস৫ প্রো। ১০,০০০ টাকার মধ্যের এই ফোনটি সদ্যই, গত ৬ মার্চ লঞ্চ হয়েছে এই দেশে। এটিই প্রথম ফোন যার দাম ১০,০০০এর মধ্যে অথচ পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু এই ফোনের ভবিষ্যৎ এ দেশে কতখানি তা নিয়ে ধন্দ আছে কারণ এই দামের বাজেট ফোন এই দেশে অনেকগুলোই রয়েছে, তাই প্রতিযোগিতা যথেষ্ট কঠিন। শাওমি-রেডমি, রিয়ালমি, ভিভো ও অপো এমনকি স্যামসঙের অনেক ফোন ইতিমধ্যেই বাজারে রয়েছে যাদের ডিজাইন ও ফিচার অনেককিছুই একইরকমের।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
বেশ সুন্দর দেখতে ইনফিনিক্স এস৫ প্রো, গ্লাসি ও গ্লসি। ৬.৫৩ ইঞ্চি সম্পূর্ণ এইচ ডি ফুল ভিউ ডিস্প্লে রয়েছে, সঙ্গে ২৩৪০*১০৮০ রেসোলিউশন। এই ফোনের যথেষ্ট ভালো ৯১.২ শতাংশ স্ক্রিন টু বডি রেশিও। পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা তো রয়েছেই। এই ফোন সাইজে একটু বড়ো বলে এক হাতে ব্যবহার করা একটু অসুবিধেজনক। যারা বড়ো ডিসপ্লে পছন্দ করে তাদের ভালো লাগবে এই ফোন।
ইনফিনিক্স এস৫ প্রো ফোনে ক্যামেরার সেন্সরের অবস্থান একটার নীচে আর একটা। ইউ আকারের ক্যামেরা মডিউল। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর পিছনের প্যানেলের মাঝামাঝি রয়েছে।
ব্যাক প্যানেলের স্মাজগুলো এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের দেরি করে কার্যকর হওয়াটা এই ফোনের খারাপ দিক। স্মাজ থাকার জন্য ফোনটিকে পুরনো মনে হয়। আর ফোনটি একটু পিচ্ছিল তাই ভালো কভার বা কেস প্রয়োজন।
দুই ধরণের রঙের বিকল্প আছে এই ফোনে- ফরেস্ট গ্রিন আর ব্রাইট ম্যাজেন্টা। দুটো রঙই খুব বেশি উজ্জ্বল। যারা মৃদু রঙ পছন্দ করেন তাদের ভালো নাও লাগতে পারে।
ইনফিনিক্স এস৫ প্রো ফোনের বৈশিষ্ট্য
এই ফোনে ২.৩৫জিএইচজেড মিডিয়া টেক হেলিও পি ৩৫ অক্টা-কোর এসওসি থাকবে, সঙ্গে ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ। এই ফোন যখন তখন ল্যাগ করে না, দ্রুততার সঙ্গে রেস্পন্স করে। তবে আনলক করার সময় সামান্য ল্যাগ করে, তবে ফিংগারপ্রিন্ট ব্যবহার করে আনলক করলে সেটুকুও হবে না। তাই এটি বাগের জন্য হচ্ছে হয়তো, হার্ডওয়্যার বা স্টোরেজের জন্য নয়।
এই ফোনে ইন-বিল্ট ডিটিএস ফিচার থাকে তাই সাউন্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো।
এই ফোনের ক্যামেরা অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ১৬ মেগাপিক্সলেল পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা এই ফোনকে অন্য ফোনের থেকে আলাদা করে রেখেছে। এই দামের ফোনে পপ-আপ ক্যামেরা থাকেনা সাধারণত।
তবে এই ফোন ব্যবহারের পর মনে হতেই পারে পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা অনেকটাই ডিজাইনের কারণে। বেজেল-হীন এই ফোনে এইরকম ক্যামেরা থাকায় ডিজাইনটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। উজ্জ্বল আলোয় ছবি ঝকঝকে ও পরিষ্কার কিন্তু কম আলোয় ছবির মান তেমন আহামরি নয়।
রিয়ার ক্যামেরার পরিসরে তিনটি ক্যামেরা আছে যার মধ্যে ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৫ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড লেন্স ক্যামেরা এবং আর একটি ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো সেন্সর আছে। রিয়ার ক্যামেরায় দিনের বেলা ব্যালেন্সড ছবি ওঠে, খুব উজ্জ্বলও নয় আবার একেবারে ম্যাড়মেড়েও নয়। ম্যাক্রো শটও যথেষ্ট ভালো মানের। এই ফোনে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড আস্পষ্ট বা ব্লার করে দেওয়া যায়। ছবি জুম করলেও সূক্ষ্ম ডিটেল্গুলো সুন্দর ধরা দেয়। কম আলোয় এই ফোনের ক্যামেরা ততটা ভালো নয়।
তবে শেষে এটুকু বলাই যায় যে ১০,০০০ টাকার বাজেটে এই ফোন যথেষ্ট ভালো। কিন্তু যে সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ক্রেতাকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে ইনফিনিক্স সেই পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা এই ফোনের প্রধান ফিচার নয়।