সংক্ষিপ্ত
শীতকাল পড়তে না পড়তেই ঠান্ডার সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে। শীতকালে ঠান্ডার থেকে পা সুরক্ষিত রাখতে মোজা পরে ঘুমানো খুবই কার্যকরী। ঘুমানোর সময় পা গরম রাখলে ঘুম ভাল হয়। সারারাত পা ঠান্ডা থাকলে রাতে ভাল ঘুম হয় না। তাই রাতের বেলা মোজা পরে ঘুমালে ঘুম অনেক গভীর ও ভাল হয়। রাতের বেলা মোজা পরে ঘুমালে কতটা উপকার পাওয়া যায় জেনে নিন।
শীতকাল পড়তে না পড়তেই ঠান্ডার সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে। কারণ শীত পড়তে না পড়তেই ঠান্ডা নিয়ে জেরবার হয় ছোট থেকে বড়রা। অনেকের আবার শরীরের তুলনায় হাত ও পা বেশি ঠান্ডা থাকে। যার কারণে শীতকালে অনেকেই মোজা পরে থাকেন। তবে শীতকালে মোজা পরা শরীরের জন্য কতটা ভাল না খারাপ তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। তবে গবেষকরা মনে করেন শীতকালে ঠান্ডার থেকে পা সুরক্ষিত রাখতে মোজা পরে ঘুমানো খুবই কার্যকরী। ঘুমানোর সময় পা গরম রাখলে ঘুম ভাল হয়। সারারাত পা ঠান্ডা থাকলে রাতে ভাল ঘুম হয় না। তাই রাতের বেলা মোজা পরে ঘুমালে ঘুম অনেক গভীর ও ভাল হয়। রাতের বেলা মোজা পরে ঘুমালে কতটা উপকার পাওয়া যায় জেনে নিন।
ঘুম ভাল হয়
রাতের বেলা শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে ভোরবেলা তা আরও বেশি কমে যায়। এ সময় পা গরম থাকলে রক্তনালীগুলো ভাল করে কাজ করতে পারে। তাই মোজা পরে ঘুমোলে তা শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। যারা ভাবছেন শীতকালে মোজা পরে ঘুমোবেন কিনা তাদের আর চিন্তার কোনও কারণ নেই।
রক্তপ্রবাহ বাড়ায়
রক্তপ্রবাহ কম হওয়ার কারণে পা ঠান্ডা হয়ে যায় ও পায়ে ব্যথার অনুভূতি হয়। এক্ষেত্রে পায়ে সুতির মোজা পরলে শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়ে।ও রাতের বেলা রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে।
পা মসৃণ রাখতে
যাদের পা ফাটার সমস্যা রয়েছে, আবার যাদের পা খুব রুক্ষ তারা পায়ের মধ্যে ভেসলিন বা গ্লিসারিন দিয়ে পায়ে মোজা পরে রাতে ঘুমোতে যান। সকালে উঠে নিজেই তফাৎটা দেখুন।
রোগ দূর করতে
রেনডস রোগের লক্ষণ হল হাত পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। এ রোগের কারণে রক্তনালী শুকিয়ে যায় যার ফলে শরীরে ভাল ভাবে রক্ত পৌঁছতে পারে না। এতে হাত পা অসাড় হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায় । এই রোগ থেকে রেহাই পেতে অবশ্যই মোজা পরে ঘুমান।
কী মোজা পরবেন
রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা সুতির মোজা, উলের তৈরি মোজা পরাই সবথেকে ভাল। তবে টাইট মোজা বেশই পরবেন না। এতে রক্তপ্রবাহ উল্টে বেড়ে যাবে এবং শরীর খারাপ হতে পারে।