সংক্ষিপ্ত
ওজন কমানো বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লেবুর ভূমিকার কথা সকলেই জানেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে ক্যানসারের মতো মারন রোগ প্রতিরোধ করতেও লেবুর জুড়ি মেলা ভার। তবে গবেষণায় আরো একটি অবাক করা তথ্য সামনে এসেছে।
কম বেশি সকল মানুষেরই খাদ্য তালিকায় লেবু থাকে। শীতকাল এলে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যায়। তবে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। জেনে রাখা ভালো লেবুর উপকারিতা সংক্রান্ত গবেষণায় লেবুর উপকারিতা নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওজন কমানো বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লেবুর ভূমিকার কথা সকলেই জানেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে ক্যানসারের মতো মারন রোগ প্রতিরোধ করতেও লেবুর জুড়ি মেলা ভার। তবে গবেষণায় আরো একটি অবাক করা তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে জানানো হয়েছে বাজার থেকে কিনে আনা লেবু গুলিকে ফ্রিজে রেখে দিলে এর গুন বৃদ্ধি পায় আরো অনেকটা এমনকী লেবুর খোসার উপকারিতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
ফ্রিজে লেবু রাখলে যে উপকার পাওয়া যায় - যদি লেবুগুলিকে ফ্রিজে রাখা যায় সেক্ষেত্রে লেবুর মধ্যে ফ্ল্যাভনয়েড ও লিমোনয়েড এর মত গুরুত্বপূর্ন উপাদান গুলির মাত্রা বৃদ্ধি পায় অনেকটাই। এছাড়াও ফ্রিজে রাখা লেবুতে থাকে শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী ভিটামিন সি, গ্লাইকোসাইড, পেকপিন ও লিমোনেন এর মতো উপাদান।যার ফলে ডায়াবেটিস ও টিউমারের মতো রোগ গুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় লেবু।
এর পাশাপাশি দেহ কোষ কে শক্তিশালী করে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তার সাথেই ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়ে থাকে। এছাড়াও পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম ভিটামিন সি, গ্লাইকোসাইড, পেকপিন, লিমোনেন এর মতো উপাদান গুলি লেবুর মধ্যে উপস্থিত থাকায় মারন রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা নিয়ে থাকে।
এতো গেল লেবুর উপকারিতা। গবেষণা থেকে দেখা গেছে ফ্রিজে রাখা লেবুর খোসাও মানবদেহের জন্য সমান উপকারী। লেবুর খোসাতেও থাকা আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম ভিটামিন বি ৬ এর মতো মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলি উপস্থিত থাকে। যা শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আনতেও সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও লেবুর খোসা শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান গুলি বের করে দিতে সিদ্ধ হস্ত বলেও জানানো হয়েছে।
ফ্রিজে লেবু রাখার নিয়ম - বাজার থেকে লেবু এনেই ফ্রিজে রেখে দিলে সেটা আপনার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে লেবুর সঠিক পুষ্টিগুণ পেতে নির্দিষ্ট ধাপ গুলি মেনে চলুন।প্রথমে বাজার থেকে লেবুটিকে এনে ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। বাজার থেকে নিয়ে আসা লেবু গুলিতে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
সেই কারনে লেবুর পুষ্টিগুণ পেতে সবার আগে লেবুটিকে জীবাণু মুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। সেই কারনে লেবুটিকে বেকিং সোডা কিংবা অ্যাপল সিডার ভিনেগার মাখিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন। তার পর আরো একবার লেবুগুলিকে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে তার পর ফ্রিজে রাখুন।
ফ্রিজের লেবুগুলি ব্যবহার করার নিয়ম - এক্ষেত্রে লেবুর সম্পুর্ন পুষ্টিগুণ পেতে লেবুটিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করাও প্রয়োজন। সেজন্য লেবুগুলি ফ্রিজে রাখার পর যখন কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন সেটিকে বার করে নিয়ে পিস পিস করে নিন। এবার সেই পিস করা লেবু গুলিকে একটি জারে রেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন।
এরপর আপনার যখন সেই লেবু প্রয়োজন হবে তখন প্রয়োজন মতো লেবু বার করে ব্যবহার করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন লেবুর খোসা গুলিতে থাকা পুষ্টিগুণ আপনি পেতে চাইলে স্যালাড বা স্যুপ এর সাথে সেই খোসা ব্যবহার করতে পারেন।