সংক্ষিপ্ত

  • রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরী, মাহেশের রথের কথা
  • কিন্তু জানেন কি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও  ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই।
  • ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথের বয়স ২৪৩ বছর

রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরী, মাহেশের রথের কথা। কিন্তু জানেন কি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও  ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথের বয়স ২৪৩ বছর। 

এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে মহিষাদল রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায়। এই রাজপরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজ হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে তিনি মারা গেলে তাঁর স্ত্রী রানি জানকি এই দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সালে এই রথযাত্রা শুরু করেন। 

সেই সময়ে এই রথে ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময়ে খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমে হয় ১৩টি। 

২০১৭ সালে এই রথকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। তখন খরচ হয়েছিল ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজপরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা চলে। এই মেলায় হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।