সংক্ষিপ্ত
গরু ছাড়াও এই ৫ প্রাণীর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর! অজানা তথ্য জানেন না অনেকেই
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহে দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। আমরা জন্মের পর থেকেই দুধ পান করি এবং পুষ্টিবিদরা বড় হওয়ার পরেও দুধ পান করার পরামর্শ দেন।
এটি কেবল হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে না, বয়সজনিত পেশী ক্ষয়ের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমায়। গরুর দুধকে সবচেয়ে পুষ্টিকর বলে মনে করা হলেও, আরও কিছু প্রাণীর দুধও পুষ্টিকর। এদের দুধে বিভিন্ন খনিজ এবং প্রোটিনের মিশ্রণ থাকে যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। অনেক সংস্কৃতিতে বহু বছর ধরে এই প্রাণীদের দুধ পান করা হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক গরুর দুধের বিকল্প কিছু প্রাণীর দুধ সম্পর্কে।
মহিষ
গরুর মতোই বোভিডি পরিবারের সদস্য মহিষও উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দুধ সরবরাহ করে। বিশ্বের মোট মহিষের দুধের ৮০% উৎপাদিত হয় ভারত ও পাকিস্তানে। মহিষের দুধে প্রোটিন এবং ফ্যাট বেশি থাকে, তাই এটি পনির, দই এবং মাখন তৈরির জন্য উপযুক্ত। এই ধরনের দুধ পান করলে পেট ভরে থাকে এবং দিনে কম খাওয়া হয়, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ছাগল
ছাগলের দুধ ফ্যাট, ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। ছাগলের দুধ সহজেই হজম হয় এবং হৃদরোগের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। ছাগলের দুধ গরুর দুধের তুলনায় ঘন এবং ক্রিমি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা শিশুদের ছানি, হাম এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় বলে জানা যায়।
ভেড়া
ভেড়ার দুধে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো মাইক্রোমিনারেল প্রচুর পরিমাণে থাকে। গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধের তুলনায় এদের পরিমাণ অনেক বেশি। ভেড়ার দুধে গরুর দুধের তুলনায় ৩৬% বেশি ক্যালসিয়াম এবং ছাগলের দুধের তুলনায় ৩১% বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। ভেড়ার দুধ সাধারণত পনির তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, কারণ এতে গরু বা ছাগলের দুধের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ কঠিন পদার্থ থাকে।
উট
উটের দুধ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোফেরিন এবং ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর তুলনায় উটের দুধে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট বেশি থাকে। এটি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের জন্য একটি ভালো বিকল্প।
গাধা
গাধার দুধের গঠন মানুষের দুধের মতো। গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকা শিশুদের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞরা গাধার দুধ পান করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে কম ফ্যাট থাকে এবং এতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, প্রদাহরোধী এবং বার্ধক্য প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।