- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- শীতকালে এক মুঠো বাদাম খেলেই ম্যাজিক! এর ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে চমকে যেতে হবে
শীতকালে এক মুঠো বাদাম খেলেই ম্যাজিক! এর ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে চমকে যেতে হবে
- FB
- TW
- Linkdin
শীতকালে বাদাম : গরিবের বাদাম হিসেবে পরিচিত বাদামে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। সকল শ্রেণীর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকা একটি খাবার হল বাদাম। শীতকালে ভাজা-পোড়া খাওয়ার চেয়ে বাদাম খাওয়া অনেকগুণ উপকারী। শীতকালে গরম খাবার সবারই পছন্দ। মাশরুম সহ বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড, মাংস জাতীয় খাবার জিভে জল আনা ঋতু হল শীতকাল। কিন্তু এভাবে খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এটি শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শীতকালে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা : আমাদের খাদ্যাভ্যাস যেন আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বাদাম দিয়ে তৈরি নাস্তা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে নিয়মিত বাদাম খেলে ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়। বাদাম শুধু স্বাদই নয়, ঠান্ডা সহ্য করার পুষ্টিগুণও ধারণ করে। এই শীতকালে বাদাম খেলে যে ৬টি উপকার পাওয়া যায় তা এখানে দেখে নেওয়া যাক।
বাদাম গরম না ঠান্ডা খাবার?: শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়!
শীতকালে সাধারণত আমরা অলস বোধ করি। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আপনি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারবেন না। ক্লান্ত বোধ করবেন। এই প্রবণতা পরিবর্তন করতে বাদাম সাহায্য করবে। আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে এতে থাকা ভালো চর্বি এবং প্রোটিন। দিনে এক মুঠো বাদাম খেলে সর্বোচ্চ শক্তি পাওয়া যায়। শীতকালে অলসতা দূর করে সক্রিয় থাকতে বাদাম সাহায্য করবে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য:
শীতকালে নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। বাদামে সাধারণত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বাদাম খাওয়া যেতে পারে। অন্যান্য জাঙ্ক ফুডের তুলনায় বাদাম ভালো ফলাফল দেয়। এতে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। বাদামে থাকা রেসভেরাট্রলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
বাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
শীতকাল এলেই সাথে সাথে সর্দি, কাশিও চলে আসে। বাদামে জিঙ্ক, ভিটামিন ই এর মতো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। জিঙ্ক নামক খনিজটি রোগ প্রতিরোধ प्रणालीর জন্য অপরিহার্য। এটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
পাচনতন্ত্রের উন্নতি:
বাদামে থাকা ফাইবার পাচনক্রিয়া উন্নত করে। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। শীতকালে মানুষের তেষ্টা কম লাগে। ফলে তারা কম জল পান করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কিন্তু বাদাম অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী।
বাদামের ভিটামিন : পুষ্টিগুণ:
বাদামে থাকা ভিটামিন বি, নিয়াসিন, ফোলেট শরীরের বিপাক উন্নত করে। এগুলো আমাদের কোষের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে। আপনাকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
কম পরিমাণে বাদাম খেলে ওজন বাড়ে না। এতে থাকা ভালো চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার পেট ভরা রাখে। এটি খেলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে।
বাদামে এত পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। সালাদে বাদাম মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন অথবা ভাজা/ সেদ্ধ বাদাম ৫০ থেকে ১০০ গ্রামের মধ্যে খান। পরিমিত পরিমাণে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়াতে পারে।