- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- Weight Loss: ওজন কমাতে গেলে এই ৭ ভুল একদমই করবেন না! এর ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে পারে
Weight Loss: ওজন কমাতে গেলে এই ৭ ভুল একদমই করবেন না! এর ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে পারে
- FB
- TW
- Linkdin
ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। অনেকেই না বুঝেই ওজন কমানোর যাত্রায় কিছু ভুল করে থাকেন, যা তাদের ওজন কমাতে বাধা দেয়। এখানে আমরা আপনাদের জানাবো ওজন কমানোর যাত্রায় কোন কোন সাধারণ ভুলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
শুধুমাত্র কার্ডিওতে ফোকাস করা
দৌড়ানো এবং সাইক্লিংয়ের মতো কার্ডিও ওয়ার্কআউট ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, তবে আপনি যদি শুধুমাত্র কার্ডিওতে ফোকাস করেন, তবে ওজন কমানোর জন্য এটি যথেষ্ট হবে না। পেশীবহুলতা বজায় রাখা এবং বিপাক বৃদ্ধির জন্য শক্তি প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। উন্নত ফলাফলের জন্য আপনার ওয়ার্কআউটে উভয়ই একত্র করুন।
খাবার এড়িয়ে যাওয়া
খাবার এড়িয়ে গেলে ক্যালোরি কমে যায়, তবে এটি আপনার বিপাক ক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরকে 'সারভাইভাল মোড'-এ রাখে, যার ফলে চর্বি জমে। সর্বদা একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন যাতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না করা
ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্ষুধা কমায়, পেশীবহুলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বিপাক বৃদ্ধি করে। আপনার ডায়েটে ডিম, মুরগি, ডাল, মটরশুঁটি এবং বাদামের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
প্যাকেটজাত ফলের রস পান করা
প্রায়শই ওজন কমানোর যাত্রায় আমরা প্যাকেটজাত ফলের রস পান করতে শুরু করি, যাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এটি ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়ায়। সঠিক পরিমাণে পুষ্টি এবং ফাইবার পেতে তাজা ফল খান অথবা বাড়িতে তাজা রস তৈরি করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
ঘুমের ওজন কমানোর উপর সরাসরি প্রভাব রয়েছে। ঘুমের অভাব ক্ষুধা এবং তৃপ্তির সাথে সম্পর্কিত হরমোনগুলিকে ভারসাম্যহীন করে, যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। আপনার প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ভালো ঘুম হওয়া উচিত যাতে আপনার শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
ব্যায়াম না করা
কখনও কখনও আমরা শুধুমাত্র খাবার কমিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করি। তবে, ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের উপর ফোকাস করুন।
অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করা
ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অতিরিক্ত প্রত্যাশা কেবল হতাশাই নয়, মানসিক সুস্থতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। ছোট এবং অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং প্রতিটি সাফল্য উপভোগ করুন। ওজন কমানো একটি ধীর প্রক্রিয়া, তাই ধৈর্যও অপরিহার্য।