সংক্ষিপ্ত
সঠিক পদ্ধতিতে চা বানাতে জানেন না অনেকেই! আয়ুর্বেদ অনুযায়ী চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি জানেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই প্রথম অভ্যাস চা বা কফি পান করা। অনেকেই দিন শুরু করেন চা বা কফি দিয়ে। কেউ কেউ মনে করেন নিয়মিত চা পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, আবার কেউ কেউ মনে করেন চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চা পানের আসলে কি কোন উপকারিতা বা অপকারিতা আছে? আয়ুর্বেদ অনুযায়ী চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
চায়ের উপকারিতা
চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এই উপাদানগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পাচনতন্ত্রের উন্নতি
আদা, পুদিনা এবং ক্যামোমিলের মতো ভেষজ চা পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। এই চা বদহজম, পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
চায়ে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
চায়ে থাকা ক্যাটেচিন এবং ক্যাফেইন বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। চায়ে কম পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা স্ফূর্তি বৃদ্ধি করে, মনোযোগ এবং একাগ্রতা বাড়ায়।
অনেকেই মানসিক চাপের সময় চা পান করতে পছন্দ করেন। চা তৈরি এবং পান করার প্রক্রিয়া মনকে শান্ত করে এবং উদ্বেগ কমায়। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
তবে অনেকেই চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি জানেন না। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অঙ্কিত আগরওয়াল চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। সাধারণত চা তৈরির সময় প্রথমে পানি গরম করে তারপর চা পাতা, আদা, চিনি এবং দুধ যোগ করা হয়। তবে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ভিন্ন, যা চা-কে আরও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, চা তৈরি করতে প্রথমে দুধ গরম করুন। তারপর চিনি, আদা এবং এলাচ যোগ করুন। এরপর চা পাতা যোগ করুন। পাত্রটি ঢেকে রাখুন এবং চুলা বন্ধ করে দিন। চা বেশিকক্ষণ ফুটাবেন না। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটিই চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি। যদিও চা একটি জনপ্রিয় পানীয়, তবে অতিরিক্ত চা পান ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চা পানের ফলে অনিদ্রা এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
চা পানের অপকারিতা
চায়ে থাকা ক্যাফেইন অনিদ্রা, উদ্বেগ এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চায়ে থাকা ট্যানিন আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত চা পান, বিশেষ করে খালি পেটে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। চায়ে থাকা প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ দাঁতের রং নষ্ট করতে পারে।
যারা নিয়মিত চা পান করেন তাদের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত কারণ অতিরিক্ত চা পান ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। চা পানের আগে পর্যাপ্ত পানি পান করলে গ্যাস এবং অম্বলের মতো সমস্যা দূর করা যায়। অতিরিক্ত চা পান দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।