সংক্ষিপ্ত
রহস্যে মোড়া দত্ত বাড়ির পুজো, পুজোর দালানে হাজির হতেন স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র! ইতিহাস জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
কর্মসূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন এই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পুজোর বাদ্যি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দূর দেশ থেকে বাড়ির দালানে হাজির হয়ে যান তাঁরা। এই বাড়ি হল দত্ত বাড়ি। সেই প্রাচীন নিয়ম মেনে আজও এ বাড়িতে পুজো হয়। রথযাত্রার দিন কাঠামো পুজো হয় নিয়ম মেনেই।
শুধু পরিবারের সদস্যরাই নয়, বংশপরম্পরায় এই পুজোয় সামিল হন মৃৎশিল্পী, পুরোহিত ও বাদ্যকারেরাও। আগে বন্দুকের আওয়াজে শুরু হত এই পুজো। তবে এখন আর এই প্রথা মানা হয় না। এখন পুজো শুরুর আগে ফাটানো হয় আতশবাজি।
জানলে অবাক হয়ে যান এক সময় স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দত্ত বাড়ির পুজোয় সামিল হতেন। তাঁর বিক্ষাত উপন্যাস বিষবৃক্ষ এই দত্তবাড়িতে বসেই লেখা। শুধু তাই নয় এই বাড়িতে বসেই একাধিক উপন্যাস লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র।
এই বনেদি বাড়িটি কলকাতা থেকে খানিক দূরে জয় নগরে অবস্থিত। আজও ইতিহাসের পাতায় বড় বড় করে লেখা রয়েছে এই বাড়ির পুজো। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই পুজোটি।
১৬৭৫ সালে কলকাতা থেকে সুন্দরবনের জমিদার ছিলেন রামচন্দ্র দতেত। এরপর দুর্গাপুজো করার স্বপ্নাদেশ পান তিনি। তবে কালের নিয়মে এখন আর জমিদারি না থাকলেও বাড়ির পুজো বহাল রয়েছে। এখনও দেবীর আরাধনা করা হয় টানা ১০ দিন ধরে। দেশ-বিদেশ থেকে বাড়ির পুজোয় সামিল হন পরিবারের সদস্যরা। এই পুজোতে একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে শহর থেকে খানিকটা দূর গিয়ে এই বাড়িতে একবার ঢুঁ দিয়ে আসতে পারেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।