স্নান করার সময় এই নিয়ম মানেন তো? ভয়ঙ্কর সমস্যায় মুখে পড়বেন কিন্তু
- FB
- TW
- Linkdin
শুধু মাথায় জল দিলে ঠান্ডা জলেই গোসল করা উচিত। আয়ুর্বেদ অনুসারে, গরম জলে গোসল করা উচিত নয়। কিন্তু মাথায় তেল মালিশ করে গোসল করলে অবশ্যই ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জলে গোসল করা উচিত। কেন? এর উপকারিতা কি, তা এই পোস্টে জেনে নিন।
তেল মালিশ করে গরম জলে গোসল করার উপকারিতা:
আয়ুর্বেদ অনুসারে, তেল মালিশের পর গরম জলে গোসল করা উচিত। এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রয়েছে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। তেল এবং গরম জল ত্বক দ্বারা ভালভাবে শোষিত হয়।
তেল মালিশের পর গরম জলে গোসল করলে, গরম জল ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে দেয় এবং তেল ভিতরে প্রবেশ করে। এছাড়াও, গরম জলে গোসল করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবহৃত তেলের সুবিধা পাওয়া যায়।
গরম জলে গোসল করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়, উদ্বেগ কমে, মানসিক চাপ কমে এবং শরীরকে আরাম দেয়। এক কথায়, এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
গরম জলে গোসল করলে পেশী এবং জয়েন্টগুলো শিথিল হয়। তেল মালিশ শরীরের ব্যথা এবং ক্লান্তি দূর করে। তেল মালিশের সাথে গরম জলে গোসল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তেলের সুবাস শরীরকে সুগন্ধযুক্ত করে তোলে।
তেল মালিশের জন্য কোন তেল ভালো?
আয়ুর্বেদ অনুসারে, তেল মালিশের জন্য কোন তেল ভালো তা নিচে দেওয়া হল:
নারকেল তেল - পিত্তের সমস্যা থাকলে নারকেল তেল ব্যবহার করা ভালো। এই তেল শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বককে পুষ্টি জোগায়।
তিলের তেল - বাতের সমস্যা থাকলে এই তেল ভালো। এর পুষ্টিগুণ শুষ্ক ত্বক দূর করতে সাহায্য করে।
জলপাই তেল - এই তেল পিত্তের সমস্যা থাকলে খুবই ভালো। এছাড়াও, এটি সবাই ব্যবহার করতে পারেন।
সরিষার তেল - এই তেল কফের সমস্যা থাকলে খুবই ভালো।