গর্ভাবস্থায় পা ফুলে গেলে কী করণীয়? এই সময়ে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়ম
- FB
- TW
- Linkdin
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যা হল পা ফোলা। গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে চাপের কারণে পা ফুলে যায়। এর ফলে কখনও কখনও মহিলাদের হাঁটাচলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই কিভাবে এটি কমানো যায় তা এখানে দেখে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় পা ফোলা:
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন ঘটে। তাই এই সময়ে তাদের শরীরকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় পায়ে ফোলা সমস্যা বেশি দেখা যায়। হাত, পায়ে ফোলা সামান্য হলে তা বড় সমস্যা নয়। তবে বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ফোলাভাব প্রতিরোধে গর্ভবতী মহিলাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা কি তা এখন দেখে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় পা ফোলা কমানোর জন্য করণীয়:
লবণের পরিমাণ কমান:
গর্ভাবস্থায় পায়ে ফোলা কমাতে খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার কমানো উচিত। কারণ লবণ শরীরে জল ধরে রাখে। তেমনি আচার, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই ভালো। এগুলি শরীরে জল জমতে বাধা দেয়। এর জন্য কলা, শাকসবজি, বিভিন্ন ডাল, আলু, সালমন মাছ, আরও অনেক খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না!
গর্ভাবস্থায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয়। পায়ে বালিশ বা চেয়ারে উঁচু করে রাখুন। এতে পায়ে ফোলা ভাব কমবে।
প্রচুর পানি পান করুন:
গর্ভাবস্থায় পায়ে ফোলা ভাব কমাতে প্রচুর পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে, পায়ে জল জমতে শুরু করে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
ক্যাফেইন:
গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ কমানো উচিত। কারণ ক্যাফেইনে মূত্রবর্ধক উপাদান থাকে যা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এতে পায়ে জল জমে ফোলা ভাব তৈরি হয়। পুদিনা চা போன்ற হারবাল চা পান করতে পারেন। এটি গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
পায়ে ম্যাসাজ করুন!
গর্ভাবস্থায় পা ফুলে গেলে পায়ে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে ফোলা ভাব কমবে। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে গরম পানির সেঁক দিন। এতে পায়ে ফোলা ভাব কমবে এবং ভালো ঘুম হবে।