সংক্ষিপ্ত

সূর্য ওঠার উপরে নির্ভর আপনার বদহজম হবে কি না! পেটের কষ্ট এড়াতে এই নিয়ম মেনে চলুন

ভোজনরসিক বাঙালির তিনবেলাই চব্য চষ্য না হলে হয়! তবে অসুবিধে করে গ্যাস - অম্বল - বুকজ্বালা। আর ব্যাস, রাতের ঘুমটা বরবাদ।যেকোনও শারীরিক সমস্যা রাতেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গ্যাস-অম্বল, বুকজ্বালা যাতে শীতের রাতের সঙ্গী না হয়, তার জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে?

প্রথমত, রাতে খেয়ে ওঠার অন্তত আধ ঘণ্টা পরে এক গ্লাস জল খেতে হবে। খাবার খাওয়ার সময়ে জল খাওয়া যাবেনা অতিরিক্ত। প্রয়োজনে খেতে বসার আধ ঘণ্টা আগে জল খেয়ে নেবেন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল খেতে থাকেন, তা হলে হজমও ভাল হবে।

দ্বিতীয়ত, রাতে হালকা খাবার খান। কম তেলে রান্না করা, সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে রাতে। রাতে নেমন্তন্ন থাকলেও চেষ্টা করুন হালকা খাবার বেছে নিতে। ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত তেল–মসলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতে পেটের খানিকটা অংশ খালি রেখে খাওয়ার অভ্যাস করাই ভালো।

তৃতীয়ত, রাতে খেয়ে উঠে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এতে বিপাকে হার বাড়বে, হজম যেমন ভাল হবে, তেমনই রক্তে শর্করাও জমতে পারবে না। খাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে ঘুমোতে যাবেন।

চতুর্থত, রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। সূর্য ডোবার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তিও ক্ষীণ হতে থাকে। যে কারণে দিবার বেলায় পুষ্টি সমৃদ্ধ সব ভারী খাবার খেতে বলা হয় আর রাতে হালকা খাবার।

রাতে যে খাবারগুলো খাওয়া চলবে না :

১ . রাতে অতিরিক্ত ভাজাভুজি বা তেল মশলাযুক্ত খাবার গ্যাস অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ২ . রাতে টমেটো, লেবু, কমলালেবু জাতীয় টক ফল শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে। ৩ . রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এ অভ্যাসও অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ৪ . সোডা বা সফট ড্রিঙ্ক গ্যাস অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ৫ . রাতে অনেকেই রুটি খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার ওজন কোনাতে ভাত খাবেন না বলে রুটি খান রাতে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভাতের চেয়ে রুটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে। তাই রাতে গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে না চাইলে রুটির পরিবর্তে ভাতকেই প্রাধান্য দিন।