সংক্ষিপ্ত

মঙ্গল থেকে পাওয়া গেল কুকুরের অবয়ব! তবে কি আগেও জীবন ছিল এই গ্রহে? জানলে তাক লেগে যাবে

মহাকাশে প্রাণের সন্ধানে বরাবরই বিজ্ঞানীদের প্রথম পছন্দ মঙ্গলগ্রহ। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু আবিষ্কার করেছেন, যা বদলে দিতে পারে আমাদের পৃথিবী ও মানবজাতির চিত্র। এই আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষ শুধু বসবাসের কথা শুধু ভাববাই না বরং সক্ষমও হবে। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে অনুসন্ধান চালিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠে মহাসাগরের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলে চলছে মাধ্যাকর্ষণের খোঁজ। তারপরেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের ব্য়াপরে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন জানা গিয়েছে এই গ্রহে একটি মহাসাগর প্রবাহিত হত। সায়েন্স অ্যালার্টের খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি মহাকাশ অভিযান ও উচ্চমানের মডেলিং থেকে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেছেন। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে যে মঙ্গলের ম্যান্টলে চলমান প্রক্রিয়াগুলি সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনসের প্রমাণ দেয়। বার্লিনে অনুষ্ঠিত ইউরোপ্ল্যানেট সায়েন্স কংগ্রেসে (ইপিএসসি) ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (টিইউ ডেলফট) বার্ট রুট এ তথ্য জানিয়েছেন। এগুলো আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষ বলেই জানা গিয়েছে।

রুট আরও ব্যাখ্যা করেছেন, "মঙ্গলের পৃষ্ঠে পাওয়া কিছু হিমায়িত কাঠামোগুলি মূলত আগ্নেয়গিরির অবশেষ হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সকলেই নিশ্চয়ই সঙ্কুচিত হয়েছে। মঙ্গলের উত্তর মেরুর কাছে বিভিন্ন আকারের প্রায় ২০টি অবয়ব পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে একটি কুকুরের আকারের ছিল। একই সময়ে, মঙ্গল পৃষ্ঠে এই বৈশিষ্ট্যগুলির কোনও প্রমাণ নেই। যাইহোক, মহাকর্ষীয় তথ্য আমাদের মঙ্গল গ্রহের উত্তর গোলার্ধের পুরানো ইতিহাসের একটি আকর্ষণীয় ঝলক দেয়।

গবেষণাটি থার্সিস রাইজের আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কেও নতুন তথ্য সরবরাহ করে। এটি সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি, অলিম্পাস মনসের আবাসস্থল। ডঃ রুট এবং তার দল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১,১০০ কিলোমিটার নীচে অবস্থিত প্রায় ১,৭৫০ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি বিশাল হালকা কাঠামো আবিষ্কার করেছেন, যার ফলে থারসিস অঞ্চলটি উপরের দিকে ফুলে উঠেছে। এ থেকে বোঝা যায়, মঙ্গলের অভ্যন্তরে অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া চলছে। এটি ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনে সহায়তা করবে।