সংক্ষিপ্ত
এই উপায়ে পেয়ারা খান শীতে! তারপর দেখুন দেখুন ম্যাজিক, ধারে কাছে ঘেঁষবে না এই রোগ
চলছে পেয়ারার মৌসুম। পেয়ারাকে শীতের সবচেয়ে উপকারী ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেয়ারা পাকস্থলী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই উপকারী। শিশু থেকে শুরু করে বড়দের সবারই পেয়ারা খাওয়া উচিত। মিষ্টি ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও পেয়ারা জাতীয় খাবার উপকারী।
শীতে কীভাবে খাবেন পেয়ারা?
পেয়ারা গরম করে খান- শীতকালে পেয়ারা হালকা গরম করে খেতে হবে। এর জন্য নিজের মতো করে পেয়ারা টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। খুব বেশি বড় বা ছোট টুকরো করা উচিত নয়। এবার একটি প্যান বা কড়াই নিন এবং এতে পেয়ারা যোগ করুন। এবার এতে ১ চা চামচ গুঁড়া চিনি মেশান। এবার পেয়ারায় কালো নুন ও চাট মশলা দিন। গ্যাস চালু করুন এবং পেয়ারা সামান্য গরম না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে নাড়তে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে। এবার গরম পেয়ারা খান। এভাবে পেয়ারার স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়।
কীভাবে কাঁচা পেয়ারা খাবেন- পেয়ারা কেটে তাতে হালকা কালো লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে। কাঁচা পেয়ারা থাকলে তার উপর কিছুটা লাল লঙ্কার গুঁড়ো বা গোলমরিচের গুঁড়ো বা চাট মশলা যোগ করুন। এভাবে অনেকেই পেয়ারা খেতে পছন্দ করেন।
পেয়ারা পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। লোকেরা কাশি দূর করতে কাঁচা পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা খায়। পেয়ারা বেশি কাঁচা হলে গ্যাসে বা কয়লায় ভেজে নিন। এবার ভাজা পেয়ারা খান। এটি আপনাকে সর্দি-কাশি এড়াতেও সহায়তা করবে।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়- শীতকালে প্রতিদিন অবশ্যই ১টি পেয়ারা খেতে হবে। সঠিক সময়ে পেয়ারা খেলে এটি আপনাকে প্রচুর উপকার দেবে। সকালে বা সন্ধ্যায় পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ঠান্ডায় এই সময়ে পেয়ারা খেলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই দিনের বেলা অর্থাৎ দুপুরে পেয়ারা খান। হালকা রোদে বসে পেয়ারা খান।