বাবা-মায়ের যে ৫টি অভ্যাস বাচ্চাদের শেখানো উচিত! রইল বিশেষ টিপস
বাবা-মায়ের যে ৫টি অভ্যাস বাচ্চাদের শেখানো উচিত! রইল বিশেষ টিপস
- FB
- TW
- Linkdin
)
Five Habits Parents Must Teach Their Children : স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের কর্মক্ষমতা তাদের সকালের অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। একটি শিশুর সকালের অভ্যাস শুধুমাত্র তাদের স্কুলের জন্য প্রস্তুত করে তাই নয়, তাদের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে। আপনি যদি চান আপনার সন্তানরা স্কুলে ভালো ফল করুক এবং তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটুক, তাহলে তাদের এই ৫টি সকালের অভ্যাস শেখান।
প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাচ্চাদের তাদের বাড়ির কাজগুলি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আগের দিনের পড়া திருப்பி দেখার মাধ্যমে তাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে। আগের দিনের পাঠ প্রতিদিন জানার মাধ্যমে, তারা সেই দিনের স্কুলে পড়ানো বিষয়গুলির জন্য প্রস্তুত হতে পারবে। ২০২৩ সালে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সকালে পড়া জিনিস திருப்பி দেখা শিশুরা ৩০ শতাংশ বেশি বুদ্ধিদীপ্ত হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জল পান করার অভ্যাস বাচ্চাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে। স্কুলে যাওয়ার সময় জলের বোতল দিয়ে জল পান করতে উৎসাহিত করতে হবে। বাচ্চাদের শরীরে জলের পরিমাণ সঠিক থাকলে তাদের মনও সতেজ থাকবে। ফলে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হবে না। গত বছর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদের মধ্যে যাদের শরীরে জলের পরিমাণ বেশি থাকে তারা ২৫% বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে। শরীরে জলের অভাব ক্লান্তি ও বিরক্তি সৃষ্টি করে। ফলে তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সকালে বাচ্চাদের স্মার্টফোন দেওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। টিভি, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য গ্যাজেট থেকেও তাদের দূরে রাখতে হবে। বেশি ডিজিটাল স্ক্রিন দেখলে তাদের মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়বে। ফলে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হবে। দুই বছর আগে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সকালে বেশি স্ক্রিন টাইম থাকা বাচ্চাদের মনোযোগ ৪০ শতাংশ কমে যায়। ফলে তাদের আগ্রহ কমে যায়। সকালে বাচ্চাদের বই পড়া, বাগান করা ইত্যাদি কাজে সক্রিয় রাখা যেতে পারে।
সকালে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া উচিত। কারণ সকালের খাবার হল মস্তিষ্কের খাবার। ডিম, ওটস, ফল, বাদাম, পেস্তা এবং শুকনো ফল দেওয়া উচিত। এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাট রয়েছে। এগুলো মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে পড়াশোনায় সাহায্য করে। বাচ্চারা স্কুলে ভালো ফল করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারও একটি কারণ।
বাচ্চাদের সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করানো উচিত। বাচ্চারা তাড়াতাড়ি উঠলে স্কুলের জন্য প্রস্তুত হতে বেশি সময় পাবে। শান্ত ও সতেজভাবে দিন শুরু করতে পারবে। দেরিতে উঠলে সবকিছু তাড়াহুড়ো করে করতে হবে। কিছু বাচ্চা সকালের খাবারও এড়িয়ে যায়। ফলে তারা বিরক্ত হয়ে স্কুলে যায়। ২০২৩ সালে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সকাল ৭টার আগে ঘুম থেকে ওঠা বাচ্চারা স্কুলে বেশি আগ্রহী ও মনোযোগী থাকে।
পড়ার জন্য এগুলো সহজ অভ্যাস মনে হলেও বাচ্চারা যখন এগুলো করতে শুরু করবে তখন তাদের কর্মক্ষমতা বাড়বে। জীবনেও তারা আরও বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী হবে। আপনি আপনার সন্তানের জন্য সম্পত্তি জমানোর চেয়ে ভালো অভ্যাস শেখানোই সঠিক। অবশ্যই এই ৫টি অভ্যাস বাচ্চাদের শেখান।