সংক্ষিপ্ত

দইয়ে এই উপাদান মিশিয়ে খেলেই বিষ! হতে পারে ভয়ঙ্কর পরিণতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ, জেনে নিন

রোজ খাবারের পাতে দই রাখেন অনেকেই। দই খেলে ওজন ঝটপট কমে যায় কারণ এতে মেটাবলিজম ঠিক থাকে। দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। অত্যন্ত সুস্বাদু এই খাবারের রেসিপিতে দই ব্যবহার করা হয়। আবার শুধু দই খেয়তে পছন্দ করেন না অনেকেই। দইয়ের সঙ্গে লবণ বা চিনি জাতীয় উপাদান মিশিয়ে খেতে ভালবাসেন বেশিরভাগই। তবে আয়ুর্বেদিক মতে দই খাওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু আশ্চর্যজনক কথা বলা হয়েছে-

যেমন-১)দইয়ে কিছু না মিশিয়েই খাওয়া ভাল এমনই বলা হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। দইয়ে কিছু মিশিয়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

উত্তর প্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সরোজ গৌতম জানিয়েছেন, দই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে দই খাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।

যেমন- গ্রীষ্ম ও বর্ষা দুই ঋতুতেই দই কম খাওয়া উচিত। রক্তকে দূষিত করতে পারে দই যার ফলে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও রাতের বেলায় দই খাওয়ার অভ্যাস খারাপ হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক। তাঁর মতে, রাতে দই খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া কোনো ঋতুতেই অতিরিক্ত পরিমাণে দই খাওয়া উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে ডক্টর সরোজ গৌতম জানিয়েছেন, প্রচুর সংখ্যক নুন দিয়ে দই খেতে পছন্দ করলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। দইয়ে নুন মিশিয়ে খেলে ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া, চুল অকালে পাকা হয়ে যাওয়া এবং ফোঁড়া হতে পারে।

বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রোজ নুন মিশিয়ে দই না খাওয়াই ভাল। দই ও দুধ একসঙ্গে খাওয়াও উচিত নয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনি ও গুড় মিশিয়ে দই খাওয়া যেতে পারে। চিনির থেকে দইয়ের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যারা ব্লাড সুগারের রোগী তারা দইয়ে অল্প পরিমাণে মধু যোগ করেও খেতে পারেন। এ ছাড়া মুগ ডাল, তিসির বীজ, দেশি ঘি এবং আমলা মিশিয়ে দই খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকার মেলে। এটি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।