শিশুদের বুদ্ধিমান করে তোলার টিপস জেনে রাখুন! তুখর ব্রেইন হবে আপনার শিশুর
শিশুদের বুদ্ধিমান করে তোলার টিপস জেনে রাখুন! তুখর ব্রেইন হবে আপনার শিশুর

প্যারেন্টিং টিপস
প্রতিটি বাবা-মায়ের ইচ্ছা তাদের সন্তানদের বুদ্ধিমান করে গড়ে তোলা। শিশুদের বুদ্ধিমান করে তোলার অনেক উপায় আছে। এই পোস্টে কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল। শিশুর শিক্ষার দিকে মনোযোগ দিন। তাদের বই পড়তে এবং ধাঁধা খেলতে উৎসাহিত করুন। এটি শিশুদের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করবে। শিশুদের প্রশ্নের ধৈর্য সহকারে উত্তর দিন।
শিশুর অভ্যাস পরিবর্তন করুন
শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিন। পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন। চিনিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলুন। টিভি, মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হতে দেবেন না। এটি শিশুদের মস্তিষ্ককে মন্থর করে তুলতে পারে। শিশুদের সাথে খেলুন। তাদের বাইরের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। তাদের প্রতিভার বিকাশের জন্য, চিত্রাঙ্কন, সংগীত, নৃত্যের মতো শখে অংশগ্রহণ করতে দিন। প্রতিটি শিশুর ই আলাদা প্রতিভা থাকে। প্রথমে তা চিহ্নিত করুন এবং সেই ক্ষেত্রে তাদের দক্ষ করে তুলতে চেষ্টা করুন।
শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান
অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে এবং মিশতে উৎসাহিত করুন। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং অন্যদের সাথে মিলে কাজ করার সুযোগ দিন। সামাজিক জীবন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। ভবিষ্যতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে। শিশুদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। তাদের ভুলগুলি নরমভাবে সংশোধন করুন। তাদের কাছ থেকে শিখুন। শিশুদের কথা উপেক্ষা করবেন না। মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং সাহসী হতে শেখান।
স্বাস্থ্যকর খাবার দিন
শিশুদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। শিশুরা যদি কোনও ভুল করে বা সমস্যায় পড়ে, তাদের পাশে থাকুন। শিশুরা যদি কোনও সমস্যায় পড়ে, তাদের নিজেদের সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করুন। এটি তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াবে। ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালে শিশুরা বুদ্ধিমান হয়ে বড় হবে। শিশুর স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ থাকলে মস্তিষ্কের বিকাশও ভালো হয়। তাই বাদাম, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে দিন।
গর্ভাবস্থায় যা করণীয়
গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ শিশুর বুদ্ধিমত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে। মানসিক চাপ এড়াতে, কিছু গর্ভকালীন যোগব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার খান। উপরোক্ত সমস্ত তথ্যই সাধারণ মতামত। প্রতিটি শিশুর ই আলাদা প্রতিভা থাকে। আপনার শিশুদের প্রতিভার ভিত্তিতে তাদের দক্ষ করে তুলুন। তথ্যটি উপকারী মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।
