- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার সহজ উপায় জানেন? জেনে নিন ডায়াবিটিস রোগীদের সুস্থ থাকার বিশেষ টিপস
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার সহজ উপায় জানেন? জেনে নিন ডায়াবিটিস রোগীদের সুস্থ থাকার বিশেষ টিপস
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার সহজ উপায় জানেন? জেনে নিন ডায়াবিটিস রোগীদের সুস্থ থাকার বিশেষ টিপস
| Published : Nov 08 2024, 11:37 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সোলাস পুশ-আপ সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। এই ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন হাঁটাচলা করতে পারেন না। যারা ব্যায়াম করতে পারেন না তাদের জন্য হাঁটাচলাই হলো মাঝারি ধরনের ব্যায়াম। কিন্তু সময়ের অভাব, পর্যাপ্ত জায়গার অভাব সহ নানা কারণে যারা হাঁটাচলা করতে পারেন না তাদের জন্য সোলাস পুশ-আপ ব্যায়াম উপকারী।
বসা অবস্থায় সোলাস পুশ-আপ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই ব্যায়াম আপনার বিপাকীয় হার উন্নত করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কেন উপকারী?
খাবারের পর, অর্থাৎ খাবারের ৩০ মিনিট পর ব্যায়াম করলে রক্তে শর্করার (গ্লুকোজ) দ্রুত পেশী টিস্যুতে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে এটি গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা হয়। বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা আগেই এটি আবিষ্কার করেছেন।
কিন্তু এটি আপনার খাওয়া খাবার থেকে রক্ত প্রবাহ থেকে শর্করা গ্রহণ করে। এতে আপনার কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কারণ। তাই রাতের খাবারের পর হাঁটাচলা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। কিন্তু সবার পক্ষে এটি সম্ভব নয়। তারা সোলাস পুশ-আপ করতে পারেন।
সোলাস পুশ-আপ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি বসে করলেও হাঁটাচলার সমান উপকার পাওয়া যায়। এই ব্যায়াম আপনার বিপাকীয় হার ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় সোলাস পুশ-আপ ভালো। এতে খারাপ কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমে।
কীভাবে সোলাস পুশ-আপ করবেন?
প্রথমে একটি চেয়ারে বসুন। তারপর আপনার পা দুটো মাটিতে সমানভাবে রাখুন। তারপর আপনার পায়ের পাতার সামনের অংশ মাটিতে রেখে শুধুমাত্র গোড়ালি উপরে তুলুন। আবার গোড়ালি নীচে নামিয়ে দিন। এভাবে বারবার গোড়ালি উপরে তুলে নীচে নামানোই হলো সোলাস পুশ-আপ।
এটি ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লান্তি ছাড়াই করা যায়। এক মিনিটে আপনি ৫০ টি পুশ-আপ সহজেই করতে পারবেন। এভাবে ৪ থেকে ৫ মিনিট ধরে করতে হবে। তারপর ৫ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার শুরু করুন। এভাবে ১০ বার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি করলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকার সম্ভাবনা বেশি।