সংক্ষিপ্ত

টি-ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে। যা চুলের জন্য অনেক উপকারী। জেনে নিন চুলের যত্নে টি-ট্রি অয়েলের উপকারিতা।

রূপচর্চার জন্য আমরা প্রত্যেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। ফেসওয়াশ থেকে শুরু করে চুলের যত্ন সবেতেই বিভিন্ন রকমের কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করি। ইদানিং সৌন্দর্য চর্চায় টি-ট্রি অয়েল খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ত্বক হোক বা চুল সবকিছুরই চাই বাড়তি যত্ন। ঠিক তেমনই চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের অয়েল আমরা ব্যবহার করে থাকি। তেমনই একটি এসেনসিয়াল অয়েল হল টি-ট্রি অয়েল।এই অয়েলের অনেক গুণাগুন রয়েছে। টি-ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে। যা চুলের জন্য অনেক উপকারী। জেনে নিন চুলের যত্নে টি-ট্রি অয়েলের উপকারিতা।

চুলের যত্নে টি-ট্রি অয়েল

যাদের চুলে উকুনের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ভীষণ উপকারী এই টি-ট্রি অয়েল। ২ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর সারা মাথায় ভাল করে ম্যাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। ২ সপ্তাহ এটি করলেই ভাল ফল পাবেন।

খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পু করার সময় কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল লাগান।হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ভাল করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্নে এই টি-ট্রি অয়েল ভীষণ উপকারী। চুলের বৃদ্ধি পেতে, চুলকে স্ট্রং বানাতে হালকা গরম অলিভ অয়েলের সঙ্গে ৫-৬ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। রাতে ভাল করে মাথায় ম্যাসাজ করিয়ে নিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। টি-ট্রি অয়েলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটোরিয়াল উপাদান চুলের যে কোনও ইনফেকশন দুর করে চুলের গ্রোথকে বাড়াতে সাহায্য করে।

মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলেও আমাদের চুল ড্যামেজ হয়ে যায়। সেই ড্যামেজ হওয়া চুলকেও বাঁচাতে দারুণ উপকারী এই তেল।

যে কোনও কসমেটিকের দোকানেই এই তেল পেয়ে যাবেন। এই তেলের দামও খুব বেশি নয়।