সংক্ষিপ্ত

গরম জলে স্নান করা শরীরের জন্য কতটা ভাল না খারাপ সেটা আমরা খেয়ালও করি না। কিছু না জেনেও আমরা গরম জল ছাড়া স্নানের কথা একমুহূর্ত ভাবতেও পারি না। কিন্তু গরম জল দিয়ে স্নান করা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা জেনে নিন।

শীতকালে স্নান করার কথা সবার আগে মাথায় এলেই যেন ঠান্ডাটা যেন আরও জাঁকিয়ে ধরে। আর শীতকাল মানেই গরম জলে স্নানই ভরসা। কিন্তু গরম জলে স্নান করা শরীরের জন্য কতটা ভাল না খারাপ সেটা আমরা খেয়ালও করি না। কিছু না জেনেও আমরা গরম জল ছাড়া স্নানের কথা একমুহূর্ত ভাবতেও পারি না। কিন্তু গরম জল দিয়ে স্নান করা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা জেনে নিন।

একটানা গরম জল দিয়ে স্নান করলে ছেলেদের ফার্টিলিটি কমে যায়। ছেলেরা দীর্ঘ সময় গরম জল দিয়ে স্নান করলে সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। তাই ছেলেদের সবসময় ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করা উচিত। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডায় গরম জল দিয়ে স্নান করলে হঠাৎ করে হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকী হার্ট অ্যাটাকেরও সম্ভাবনা বাড়ে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও গরম জল দিয়ে স্নান করবেন না।গরম জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের আদ্রর্তা কমে যায়। যার ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এর ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের সৌন্দর্য হ্রাস পায়। তাই প্রয়োজন না পরলে গরম জলে স্নান করা বন্ধ করে দিন।

 

 

ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তার ফলে নানা ধরনের সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। গরম জলে স্নান করলে রক্তচাপে পরিবর্তন দেখা যায়। যাদের হার্টের রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে বড় কিছু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গরম জলে স্নান করলে মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বল এই ধরনের নানা সমস্যা দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, গরম জলে স্নান করলে শরীরের রক্তচাপে হেরফের হয় এবং শরীরে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। খাবার খাওয়ার পর ভুল করেও গরম জলে স্নান করবেন না। এতে শরীরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।  ইষদুষ্ণ জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। এবং শরীর ভাল রাখার জন্য টক্সিন দূর হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। গরম জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়ে। যার ফলে ঘাম হয়। এর ফলেই শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়।সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে , রাতের বেলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জল খেলে তা চিন্তা কমাতে ভীষণ সাহায্য করে। কারণ গরম জল খেলে স্নায়বিক উত্তেজনা কমে। এবং স্নায়ুও শিথিল থাকে। যার ফলে নিশ্চিন্তে ঘুম ভাল হয়।।