সংক্ষিপ্ত

জিন্স ছাড়া বাড়ির বাইরে যান না? মারাত্মক ক্ষতি করছেন নিজের, জানলে চমকে যাবেন

জিন্স পরা এখন একটা ট্রেন্ড। বাচ্চা থেকে বড় সবাই জিন্স পরেন। শার্ট, টি-শার্ট, যেকোনো পোশাকের সাথেই জিন্স মানানসই। ডেনিমের তৈরি এই জিন্সের বিশ্বব্যাপী কদর রয়েছে। স্টাইলিশ এই জিন্স নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই পরেন। তবে জিন্স পরার কিছু অসুবিধা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ত্বকের সমস্যা সহ আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে জিন্স।

বিশেষ করে রাতে জিন্স পরে ঘুমালে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এটা কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়। গবেষণা করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা। সাধারণত রাতে আমরা আরামদায়ক নাইট ড্রেস পরে থাকি। তবে কেউ কেউ সারাদিনের পোশাকেই ঘুমিয়ে পড়েন। এটা মোটেও ভালো অভ্যাস নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। দিনের বেলায় আমরা বাইরের পরিবেশে থাকি, তাই বাতাস এবং আলো পাই। কিন্তু রাতে তা না থাকায় ঘাম বেশি হয়।

জিন্স কাপড় ঘাম শোষণ করে না। ফলে ত্বকে ঘাম জমে। এতে ত্বকে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদে এটি ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে বলে ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এটি ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

রাতে জিন্স পরে ঘুমালে উরুর মাঝে বাতাস চলাচল করে না। ফলে ত্বক ঘষা লেগে কালো হয়ে যায় এবং চুলকায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। টাইট জিন্স পরলে গোপনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এটি শুক্রাণুর মানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, তাপের কারণে শুক্রাণু উৎপাদনও কমে যায়। এটিও পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ।

রাতে জিন্স পরে ঘুমালে হজমের সমস্যা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। পেটের উপর চাপ পড়ার কারণে পেট ব্যথা, গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও কোমরের উপর চাপ পড়ার কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।

রাতে ঘুমানোর সময় পোশাকের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ঢিলেঢালা এবং বাতাস চলাচল করে এমন পোশাক পরা উচিত। ত্বকের জন্য আরামদায়ক সুতির প্যান্ট পরা ভালো। এ ধরনের পোশাক ঘাম সহজেই শোষণ করে। ফলে ত্বকের সমস্যা কমে। এছাড়াও ঢিলেঢালা পোশাক পরলে শরীরের সব অংশে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়।

বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলি কেবল প্রাথমিক তথ্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।