রান্নাঘরেই পাবেন চর্বি ঝরানোর উপায়, পিঁয়াজের ঝাঁঝেই কমবে ভুঁড়ি
শরীররচর্চার সঙ্গে অল্প খাওয়ারের পরিবর্তন এতেই কমবে মেদ। শুধু মেনে চলতে হবে কিছু টিপস। যেকোনও মিলের সঙ্গে স্যালাডে পিঁয়াজ রাখা অবশ্যক। ব্যস্ততার জীবন কাটিয়ে আর সুস্থ্য নীরোগ জীবন যাপন করা সম্ভব হচ্ছে না ? বাইরের খাবার, এসির হাওয়া, শরীরচর্চা না করতে পাড়ার ফলে শরীরে যেন মেদ বেড়েই চলেছে। অন্য সব জায়গার মেদ ঝরলেও পেটের আশেপাশের অংশে যেন মেদ কমতেই চায় না। ডায়েট করা বা শরীরচর্চার সময়ও নেই। এবার উপায়?
ভীষণ সহজলোভ্য একটি সবজির সহায়তা আর কিছু সঠিক অভ্যাস, বদলে দিতে পারে আপনার চেহারা। আসুন দেখি ওজন কমাতে পিঁয়াজ কিভাবে উপকার করে বা কিভাবে ব্যবহার কিরবেন পিঁয়াজ।
পিঁয়াজের রস :
১ টা বড়ো মাপের পিঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এতে প্রায় ৩ কাপ বা উষ্ণ গরম জল মিশিয়ে ঠান্ডা করে পাত্রে জমিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হাফ কাপ করে খেয়ে নিন। এবার হালকা শরীরচর্চাও অনেক তাড়াতাড়ি কাজ দেবে। আসলে পেঁয়াজের রস পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি যোগায়, মেটাবলিজম রেট ঠিক রাখে, ফকে হজম ভালো হয়, তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমতে পারে না।
পিঁয়াজের স্যুপ :
বড় মাপের ৬টি পিঁয়াজ লম্বা লম্বা করে কুচিয়ে নিতে হবে, পরিমান মতো ভেজিটেবল বা চিকেন স্টক, গোলমরিচ ও লবণ পরিমান মতো, টমেটো ও বাঁধাকপি কুচিয়ে এক এক কাপ করে নিতে হবে, ও অলিভ অয়েল।
প্রণালী : অল্প অলিভ ওয়েলে পিঁয়াজগুলো দিয়ে সতে করে নিন। এবার টমেটো দিয়ে দিন। লবন দিয়ে টমেটো ও পিঁয়াজ মোজে এলে তাতে বাঁধাকপি দিয়ে নাড়ুন। এবার চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক দিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন ১০ মিনিট। স্যুপ ঘন হয়ে এলে আগুন নিভিয়ে spring ওনিয়ন ছড়িয়ে গরম গরম পাউরুটির সাথে বা শুধুই পরিবেশন করতে পারেন পিঁয়াজের স্যুপটি।
বিশেষ তথ্য : মোটামুটি ১৫০ গ্রাম মতো পিঁয়াজে ৬৪ গ্রাম ক্যালোরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.১৬ গ্রাম ফ্যাট, ২.৭ গ্রাম ফাইবার, ১.৭৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭৮ গ্রাম শর্করা থাকে। এছাড়াও পিঁয়াজে রয়েছে পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সালফার প্রভৃতির মতো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক গুণাবলি যা আপনাকে রোগের সাথে লড়ার জন্য সক্ষম রাখে। সর্দিকাশি জ্বরে কাঁচা পেঁয়াজ উপকারী। জানেন কি গরমকালে সকালে দুপুরে খাবার সাথে কাঁচা পেঁয়াজ শরীরকে ঠান্ডা রাখে। হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। স্যালাডে পিঁয়াজ রাখার কারণ পিঁয়াজ হজমেও সাহায্য করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে পিঁয়াজ শুধুমাত্র ঝোল ঝাল রান্নাতেই নয় আপনাকে অনেকটা সুস্থ রাখতেও উপযোগী।
