সংক্ষিপ্ত

  • গরমে গায়ে দুর্গন্ধের সমস্যাটা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়
  • এমন অনেকেই আছে যাদের সব সময়েই এই সমস্যায় ভুগতে হয়
  • এই সমস্যা অত্যন্ত বিব্রতকর
  •  শরীরে থাকা কিছু ব্যকটেরিয়া খুব সহজেই শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে
     

খুব গরমে গায়ে দুর্গন্ধের সমস্যাটা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে এমন অনেকেই আছে যাদের সব সময়েই এই সমস্যায় ভুগতে হয়। এই সমস্যা অত্যন্ত বিব্রতকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘর্ম গ্রন্থি বেশি সক্রিয় হলে এই সমস্যার সম্মুখিণ হতে হয়। শরীরে থাকা কিছু ব্যকটেরিয়া খুব সহজেই শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। দুর্গন্ধের চোটে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। এক্ষেত্রে নানা রকমের বডি-স্প্রে বা সুগন্ধি ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ধরনের বিব্রতকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মোকাবেলা করবেন এই সমস্যার।

আরও পড়ুন- হিন্দু বিবাহ অনুযায়ী, পাত্র-পাত্রী কে সাত পাকে ঘোরানো হয়, জেনে নিন এর কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল খান, তাঁদের ঘামের সঙ্গে আর মুখের থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তাই খাদ্য তালিকা থেকে প্রথমেই বাদ দিতে হবে এই জিনিসগুলি।
শর্করাজাতীয় খাবার খেলে রক্তে কিটোন বডি নামক এক বিশেষ ধরনের উপাদান সৃষ্টি হয় যা শরীরে দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত মাত্রায় পেঁয়াজ, রসুন খেলে শরীরে সালফারের পরিমান বৃদ্ধি হয়ষ ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই পেঁয়াজ, রসুন-এর খাওয়ার পরিমান কমাতে হবে।
খুব মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবারের ফলে লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরের সৃষ্টি হওয়া সালফার নির্গত হয়। ফলে খুব দুর্গন্ধ বের হয়।

আরও পড়ুন- দিওয়ালির মহাধামাকা, দেখে নিন ফ্লিপকার্টের আকর্ষণীয় অফারগুলি
চকোলেট, ক্যন্ডি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিড ও শর্করার পরিমান বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
দুগ্ধজাত দ্রব্য বেশি সেবন করলে শরীরে হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন করে যা শরীরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তাই দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরের জন্য উপকারী হলেও তা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিৎ নয়।

আরও পড়ুন- দিওয়ালির মহাধামাকা, দেখে নিন ফ্লিপকার্টের আকর্ষণীয় অফারগুলি

খাদ্যভ্যাসে এই নিয়মগুলির পরিবর্তন আনতে পারলেই, এই সমস্যার থেকে খুব দ্রুত কমিয়ে আনতে পারবেন। এরসঙ্গে প্রতিদিন নিজেকে পরিষ্কার রাখুন, অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়ুন। প্রতিদিনে ধোয়া কাপড় ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতেও যদি এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।