সংক্ষিপ্ত

রোজকারের এই ঘোড়দৌড়ে স্ট্রেস নামক মারাত্মক রোগের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ।  এই স্ট্রেসের কারণেই শরীরে বাসা বাধছে নানা ধরণের জটিল রোগ। ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল সমস্যা দিন দিন যেমন বাড়ছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে হার্টের নানান সমস্যা।

ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে কর্মস্থলের চাপ প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে কমবেশি প্রত্যেকেরই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও নিস্তার মেলে না। বাড়িতে আসতে না আসতেই অফিস সংক্রান্ত ফোন, মেসেজ, ই-মেল আসতেই থাকে। বাড়ি ফিরে অধিকাংশ সময়টাই কেটে যায় মোবাইল ফোনে। আর এভাবেই দিনের পর দিন চলতে চলতে জীবনের গতিও প্রযুক্তির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে অনেক বেশি।  ফলে অফিসের গন্ডির কাজও সহজেই ঢুকে পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনে। যার থেকেই অধিকাংশ মানুষ ভুগছেন মানসিক অবসাদে (Mental Stress)।

রোজকারের এই ঘোড়দৌড়ে স্ট্রেস (Stress) নামক মারাত্মক রোগের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ।  এই স্ট্রেসের কারণেই শরীরে বাসা বাধছে নানা ধরণের জটিল রোগ। ব্লাড প্রেসার (Blood Pressure), কোলেস্টেরল সমস্যা দিন দিন যেমন বাড়ছে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে হার্টের নানান সমস্যা। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া এবং শরীরচর্চার (Exercise) পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকসময় চিন্তা কম করলে নাকি স্ট্রেস (Stress) কমে যায়। সেটা একদমই ভুল ধারণা। স্ট্রেসের (Stress) আসল কারণটা জানতে পারলে অনেক সহজে লড়াই করা সম্ভব হয়।

 

 

আরও পড়ুন-Health Tips : দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা, প্রতিদিন নিয়ম করে করুন এই কাজ

আরও পড়ুন-Mental Health- কাজের চাপের মধ্যে মনকে শান্ত রাখতে চান, তবে মাথায় রাখুন এই টিপস

আরও পড়ুন-Health care: শীতকালে ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যায় ভুগছেন, মুক্তি পেতে কাজে লাগান এই অব্যার্থ ঘরোয়া টোটকা

 

সারাদিন পরিশ্রমের পর আমরা অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যাই। অফিস,বাড়ি সামলাতে গিয়েই নাভিশ্বাস হচ্ছে। আর তখনই বশি স্ট্রেস (Stress) লাগে। সেই সময়ে নিজেকে একটু বেশি সময় দিন। কারোর সঙ্গে কথা না বলে নির্জন একটি কোণ বেছে নিন। একটা সময় সবকিছু শূন্য লাগবে, কিন্তু খানিকক্ষণ একা থাকার পর দেখবেন মাথাটাও হালকা লাগছে, রাগও কমে গেছে আর আপনার মনটাও আগের থেকে ভাল লাগছে। যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই চাপ আসবে। তবে সব মিলিয়ে চাপ যখন বেশি চলে আসে তখনই নিজের অজান্তেই স্ট্রেসের শিকার হই আমরা। বিশেষ করে কাজের ধরণ, সহকর্মীদের মনোভাব, পরিবেশ সব কিছুর উপর এটা নির্ভর করে। তাই চাপ এলেও সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেটার চেষ্টা করতে হবে। খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ি এসে অফিসের কাজ না করাই ভাল। ফোনটা যতটা পারবেন দূরে রাখুন। অফিসের ফোনের বদলে বিকল্প কোনও নাম্বার ব্যবহার করুন।  বাড়ি ঢোকার পরে অফিস সংক্রান্ত বিষয়গুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এতে অনেকটা স্ট্রেস মুক্ত হবেন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম ভাল উপায় হল মেডিটেশন। নিজের হাজারো  কাজের মধ্যে একটু সময় বার করে শান্ত মনে মেডিটেশন করলেই মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে।