সংক্ষিপ্ত
বর্ষার এই সময় প্রত্যেকেরই বাড়িতে বাড়তে থাকে কেন্নোর উপদ্রব। মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়া বা সিলিং-এ চরে বেড়াতে দেখা যায় কেন্নো।
বর্ষার এই সময় প্রত্যেকেরই বাড়িতে বাড়তে থাকে কেন্নোর উপদ্রব। মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়া বা সিলিং-এ চরে বেড়াতে দেখা যায় কেন্নো। কেন্নো সাধারণত ক্ষতিকারণ কোনও প্রাণী নয়। কিন্তু বাড়িতে বাচ্চা থাকবে কেন্নো থেকে বিপদ হতে পারে। শিশুর নাকে বা কানে ঢুকে যেতে পারে। অনেক সময় শিশু আবার মুখেও দিয়ে দিতে পারে কেন্নোর। বিশেষ একতলা বা দোতলা বাড়িতে কোন্নের উপদ্রব বেশি হয় বর্ষাকালে। কেন্নোর জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে পড়ে অনেকেই। তাই কেন্নোকে জব্দ করতে রইল কয়েকটি ঘরোটা টিপস।
১. মনে রাখবেন মূলত আদ্রতার কারণেই কেন্নোর উপদ্রব বাড়ে বাড়িতে। কেন্নো স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ পছন্দ করে। বর্ষার জলে মাটি ডুবে যায় বলেও কেন্ন ঘরে আশ্রয় নেয়। যা অনেকেরই অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক, কেন্নোর উপদ্রব দূর করতে গেলে তাই প্রথমের দরকার ঘরের আদ্রতা কমানো। তারজন্য ঘর শুকনো রাখা খুবই জরুরি। দেখবেন ঘর যেন পরিচ্ছন্ন থাকে।
২. ঘরে কেন্নো দখলে দ্রুত সেটিকে সরিয়ে দিন। পা বা চটি দিয়ে চাপ দিয়ে মারবেন না। তাতে ঘর নোংরা হবে। তারথেকে ভালো ঝাঁটা বা অন্য কিছু করে সেটিতে তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্য়েও পরিষ্কার করতে পারেন।
৩.ঘরের কোনও অংশে ফাটল দেখা দিতে দ্রুত তা ভরাট করুন। জলের লাইনের পাশের পাইপ থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে কিনা তা খেয়ার রুখুন। প্রয়োজনে সেগুলিও পুরন করে দিতে পারেন। বা পাইপ লাইন সারিয়ে ফেলুন।
৪. বোরিক অ্যাডিস ব্যবহার করুন। এটি কেন্নো ছাড়াও বেশ কিছু কীটপতঙ্গ দ্রুত ঘর থেকে সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ঘরের কোনে বা আদ্রতা যুক্ত জায়গায় এই বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডার ব্যবহার করে কেন্নোর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি দিলে কেন্নো শুকিয়ে যায়। এই পাউডার ঘরের কোনায় ছড়িয়ে দিন। এটি কেন্নোর শরীরকে জলশূন্য করে। তাতে দ্রুত কেন্নো মরে যায়।
৬. কেন্নো ধরতে ফাঁদ পাততে পারেন। তবে এটি খুব সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি প্ল্যাস্টিকের জলের বোতল নিন। তাতে একটা লম্বা পাইপ আটকে দিন। তবে তার আগে বোতলে কয়েক টুকরো ফল দিয়ে বোতলের মুখে পাইপ আটকে দিন। কোন্ন ফলের লোভে বোতলে ঢুকলে দ্রুত বোতলের মুখ বন্ধ করে সেটিকে ফেলে দিন। বোতলটি অবশ্যই মাটিতে শুয়ে রাখবেন।