সংক্ষিপ্ত

সাও পাওলোর ট্যাটু শিল্পি কার্লা মেন্ডেস মহিলাদের বিড়ম্বনা ঢাকা দিচ্ছিন তুলির নিখুঁত টানে। এপর্যন্ত প্রায় ১৫০র বেশি মহিলাকে তিনি আরও সুন্দর করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন এই আর ডায়মন্ডস। শিল্পির কথায় তিনি তাঁর তুলির টানে কারও জীবন পরিবর্তন করে দিচ্ছেন।

শিল্পি নিখুঁত তুলির টানে মহিলাদের (Woman) অস্বস্তির কারণগুলি হয়ে ওঠে সুন্দর। মহিলাদের কাটা-পোড়ার দাগগুলি এখন আর তাদের লজ্জা দেয় না। বরং তাদের আরও আনন্দ দেয়। কারণ ব্রাজিলের ট্যাটু শিল্পির (Brazilian tattoo artist) হাত থেকেই মহিলারা মুক্তি পাচ্ছেন। আর তাই নিজের বিড়ম্বনা ঢাকতে আর সুন্দর হতে বারবারই ছুটে যাচ্ছেন ট্যাটু শিল্পির কাছে।

সাও পাওলোর ট্যাটু শিল্পি কার্লা মেন্ডেস মহিলাদের বিড়ম্বনা ঢাকা দিচ্ছিন তুলির নিখুঁত টানে। এপর্যন্ত প্রায় ১৫০র বেশি মহিলাকে তিনি আরও সুন্দর করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন এই আর ডায়মন্ডস। শিল্পির কথায় তিনি তাঁর তুলির টানে কারও জীবন পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। সেই আনন্দ তাঁর আত্মাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। তা একটি অন্যতম অনুভূতি বলেও জানিয়েছেন। আগামী দিনে এজাতীয় প্রকল্প তিনি চালিয়ে যেতে চান। 

আপনি একটা জানিস জানলে অবাক হয়ে যাবেন, যেসব মহিলারা মেন্ডেসের স্টুডিওতে যান তাদের অধিকাংশ গার্হস্থ হিংসার নির্মম অত্যাচার সহ্য করেছেন। অনেকেই আবার গাড়ি দুর্ঘটনায় দখম হয়েছেন।


পারিবারিক হিংসায় অনেকে মহিলার শরীরে মারধরের চিহ্নি থেকে যায়। আবার দুর্ঘটনার চিহ্নও বহন করতে হয়। কিন্তু সেই দাগই মহিলাকে বহন করে চলতে হয়ে দিনের পর দিন। যা মহিলার জন্য বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মেন্ডেস তাদের মুক্তি দেন। কারণ আঘাতের স্থানে তিনি ফুল, প্রজাপতি এঁকে আরও সুন্দর করে দেন। যা মহিলাকে অনেক অস্বস্তির থেকে মুক্তি দেন। মেন্ডেস দুঃস্থদের সুবিধের জন্য নো-চার্জ ট্যাটুরও আপলিকেশনের ব্যবস্থা করেছেন। তবে সেই সব মহিলাদের অবশ্যই নিজেদের জীবনের করুণ কাহিনি বলতে হবে। নাম ও ছবি পাঠানো রয়েছে শর্তের মধ্যে। 

তেমনই এক মহিলা লিলিয়ানা অলিভেরা বিস্মেয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রায় ১০ ঘণ্টা লেগেছেন তাঁর ডান হাতের দাগগুলি মুছে দিতে। সেখানে এখন বেগুনি প্রজাপতি আর সূক্ষ্মফুল জায়গা করে নিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন এটি তাঁর জীবনকে অনেকটাই স্বাভাবিক করেছে। ট্রমা  কাটিয়ে সুস্থ হতেও সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

মেন্ডেস জানিয়েছেন মহিলাদের এজাতীয় স্বস্তি তাঁকে আনন্দ দেয়। তিনি আরও বলেন তাঁর তুলি কারও জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে দেবে এটাই সেরা পাওনা তাঁর কাছে । তিনি আরও বলেছেন তাঁর দেশের নির্যাতিতা মহিলাদের স্বস্তি দিতে পেরে তিনি খুশি।