সংক্ষিপ্ত
ফ্রিজে কখনই ডিম রাখবেন না। ফ্রিজে ডিম রাখার অভ্যাস থাকলে, তা আপনার পরিবারের চরম ক্ষতি সাধন করতে পারে।
দোকান বা বাজার থেকে ডিম কিনে সোজা ফ্রিজে। ডিমের ট্রেতে ভর্তি থাকে কেনা ডিম। প্রতিটা বাড়িতেই এই ছবি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যেটা স্বাভাবিক নয়, তা হল ফ্রিজে ডিম রাখা। আশ্চর্য হচ্ছেন ? ঠিকই পড়েছেন। ফ্রিজে কখনই ডিম রাখবেন না। বরং তা রাখবেন বাড়ির ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায়। ফ্রিজে ডিম রাখার অভ্যাস থাকলে, তা আপনার পরিবারের চরম ক্ষতি সাধন করতে পারে।
একবারও কি ভেবেছি স্বাস্থ্যের জন্য যে ডিম খাচ্ছি। ফ্রিজে রাখার কারণে সেই ডিমের স্বাস্থ্যমান ঠিক থাকছে কি না? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে ফ্রিজে ডিম রেখে আপনার স্বাস্থ্যের আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রিজের ভিতর ডিম রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাদের মতে, ফ্রিজের তাপমাত্রা শূন্যরও বেশ খানিকটা নীচে থাকে বলে এখানে খাবার-দাবার রাখা নিরাপদ। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে ব্যপারটা ঠিক উল্টো। ফ্রিজে ডিম রাখলে তার মধ্যে এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। আমাদের মধ্যে রেশিরভাগই ফ্রিজ থেকে ডিম বের করেই রান্না করে ফেলি।
তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটায় ওই সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে জীবিত অবস্থাতেই থাকে। ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা নানা রকমের সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। পেটের সমস্যাও হতে পারে এর থেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অনেক ক্ষণ রেখে ডিম রান্না করলে বিপদের ঝুঁকি খানিকটা কম।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের দাবি ফ্রিজে রাখা ডিম দীর্ঘদিন পর খেলে তা থেকে ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই ডিম বেশি দিন ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ফ্রিজের ডিম থেকে হতে পারে ফুড পয়জনিং, তাই ফ্রিজে ডিম রেখে খাওয়া কখনই ঠিক নয়। ফ্রিজের ডিম থেকে বাড়তে পারে শরীরের নানা সমস্যা। ফ্রিজে থাকা ডিমের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ডিম রাখলে তার স্বাদও ভালো থাকে, এবং তা শরীরের পুষ্টির জোগান দেয়।