সংক্ষিপ্ত
- পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশে স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়
- জীবজগতের স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফুর্ত বিকাশ ব্যাহত হয়
- মানবজীবন ক্ষতিগ্রস্থ করে চলছে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ু দূষণের পারদ
- কলকাতায় দূষণের মাত্রা পরিবেশবিদদের চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কপালে
পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশে স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। এছাড়া জীবজগতের স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফুর্ত বিকাশ ব্যাহত হয়। বিশেষ করে মানবজীবন ক্ষতিগ্রস্থ করে চলছে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ু দূষণের পারদ। বায়ু দূষণ বলতে বোঝায় যখন বায়ুতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থের কণা ও ক্ষুদ্র অণু অধিক অনুপাতে বায়ুতে মিশে যায় । তখন এটি বিভিন্ন রোগ , অ্যালার্জি এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে । এছাড়াও এটা অন্যান্য জীবন্ত বস্তু যেমন ; পশুপাখি , ফসল ইত্যাদির ক্ষতি করে । দূষিত বায়ু সুস্থ পরিবেশের জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। ২০১৪ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১২ সালে বায়ু দূষণে প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- শুরু হল নিট ২০২০-এর রেজিস্ট্রেশন, ফর্ম ফিলাপ থেকে ফি রইল বিশদ বিবরণ
কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধুমপান ছাড়াও ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছ কয়েকশো গুণ। চিকিৎসকদের মতে এর জন্য দায়ী বায়ু দূষণ। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় দূষণের মাত্রা পরিবেশবিদদের চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কপালে। এরজন্য ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছে নানান শারীরিক সমস্যায়।
কলকাতার বাতাসে ধূলিকণার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। যা নয়া দিল্লির দূষণকেও টেক্কা দিতে পারবে সহজেই। কলকাতা মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষণের মাত্রা বেশি রয়েছে ফোর্টউইলিয়াম এলাকায়। এর পরেই সেই স্থানে রয়েছে বালিগঞ্জ এলাকা। সাত সকালে দূষণের মাত্রা পৌঁছেছিল ২৪৫ এমজির ঘরে। দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়তে কলকাতা পুরসভা তৈরি করেছিল একটি বিশেষ কমিটি। শহর-কে দূষণমুক্ত করতে তৎপর তারাও।