সংক্ষিপ্ত

হোম সিকনেস বাড়ির স্মৃতি, পরিবারের সান্নিধ্য এবং পরিচিত পরিবেশের জন্য আকুলতা। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে অসুবিধা, একাকীত্ববোধ, উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, খাওয়ার অরুচি ইত্যাদি হোম সিকনেসের লক্ষণ।

 আজকাল ক্যারিয়ার এবং পড়াশোনার জন্য বাচ্চারা বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে থাকে। অপরিচিত পরিবেশে থাকা, সেখানকার মানুষের সাথে মিশে যাওয়া তাদের জন্য একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক বাচ্চা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারলেও অনেকে হোম সিকনেসের শিকার হয়। বাচ্চারা নতুন পরিবেশে বাড়ির মতো পরিবেশ চায়। তাদের মুখে বাড়ির স্মৃতি, উদ্বেগ, বা দৈনন্দিন অভ্যাসের জন্য আকুলতা দেখা যায়। যদি এগুলো সময়মতো সমাধান না করা হয় তবে এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।

বাচ্চাদের হোম সিকনেস থেকে কিভাবে দূরে রাখবেন?

হোম সিকনেস একটি বড় সমস্যা, যা যদি সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। বাবা-মায়ের উচিত হোম সিকনেসের দিকে বিশেষ নজর রাখা। যখন বাচ্চারা বড় হতে শুরু করে, তখন ধীরে ধীরে তাদের বাড়ি থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করান। যেমন কখনও আপনি তাদের ছাড়া আত্মীয়ের বাড়ি এবং বন্ধুদের সাথে যেতে পারেন। এই বিষয়ে বাচ্চাদের সাথে খোলামেলা কথা বলুন যাতে তারা মনের কথা বলতে পারে। বাচ্চাদের আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে এটি মোকাবেলা করতে শেখান। অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাচ্চাদের তাদের স্পেস দিন যাতে তারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সব কিছুর পরেও যদি বাচ্চা একা বোধ করে, তাহলে কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করুন।

হোম সিকনেস একটি সাধারণ সমস্যা

গত কয়েক বছরে হোম সিকনেস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর সবারই বাড়ির স্মৃতি মনে পড়ে। তা সে বাচ্চা হোক বা বড়। কেউ কেউ সঠিক যত্ন এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে নিজেকে সামলে নেয়, কিন্তু কেউ কেউ নিজেকে একা বোধ করে। যা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়। এমতাবস্থায় বাচ্চাদের জন্য সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সুযোগ দেওয়াও জরুরি যাতে তারা হোম সিকনেসের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পায়।