সংক্ষিপ্ত
প্যারেন্টিং টিপস: সন্তানদের সামনে ঝগড়া, গালিগালাজ, কারও নিন্দা, মিথ্যা বলা, নেশা করা, অনুপযুক্ত কন্টেন্ট দেখা এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো সন্তানদের মানসিক ও भावनात्मক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রতিটি পরিবারেই সন্তানদের লালন-পালনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়। শিশুরা খুবই সংবেদনশীল এবং কৌতূহলী। তারা যা দেখে এবং শোনে, তা তাড়াতাড়ি শিখে নেয়। তাই তাদের সামনে কিছু কাজ করা এবং নিজের আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে তাদের মানসিক বিকাশ সঠিক দিকে হয়। এখানে ৭টি বিষয় সম্পর্কে জানুন, যা সন্তানদের সামনে এবং তাদের সাথে ভুলেও করা উচিত নয়।
১. ঝগড়া বা গালিগালাজ করা
মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া বা উঁচু স্বরে কথা বলা সন্তানদের অসুরক্ষিত বোধ করায়। এতে শিশুরা শিখতে পারে যে, সমস্যার সমাধানের উপায় হলো আক্রমণাত্মক হওয়া।
২. কারও নিন্দা করা
অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বা গসিপ করা থেকে সবসময় বিরত থাকা উচিত। কারণ আপনি যদি এমনটা করেন তবে এতে শিশুরা অন্যদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে।
৩. মিথ্যা বলা এবং ছোট করা
ছোট বা বড় মিথ্যা বলে পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। ছোটবেলায় শিশুরা বুঝতে পারে যে মিথ্যা বলা ঠিক। কারও বারবার সমালোচনা করা বা তাদের অযথা বকাঝকা করাও ঠিক নয়। এটি শিশুদের আত্মসম্মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. মাদক, সিগারেট বা মদ্যপান করা
পরিবারে মা-বাবার ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাওয়া বা চিৎকার করা খুবই ভুল। সন্তানদের সামনে নেশা করবেন না। শিশুরা এটিকে স্বাভাবিক বলে মনে করতে পারে এবং পরবর্তীতে এটি অনুকরণ করার চেষ্টা করতে পারে।
৫. পর্দায় কী ধরণের কন্টেন্ট দেখা
শিশুদের সামনে অশ্লীল বা হিংসাত্মক কন্টেন্ট দেখা তাদের উপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুদের মনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে শিশুদের মধ্যে হীনমন্যতা সৃষ্টি হতে পারে।
৬. মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া
আপনার সন্তানদের বলবেন না যে আমরা পার্কে যাব বা তোমাকে এটা কিনে দেব...। এই ধরনের প্রতিশ্রুতি আপনার সন্তানদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে শিশুর আপনার উপর বিশ্বাস কমে যেতে পারে।
৭. টাকা-পয়সা বা মানসিক চাপের কথা বলা
আর্থিক সমস্যা বা অন্যান্য মানসিক চাপের কথা সন্তানদের সামনে আলোচনা করবেন না। পরিবারের মধ্যে এই বিষয়গুলো সাবধানতার সাথে আলোচনা করুন কারণ শিশুরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং অসুরক্ষিত বোধ করতে পারে।