Children Safety: বাড়ির শিশুরা ঘন ঘন অসুস্থ হলে তার দৈনন্দিন অভ্যাসের ওপর নজর রাখুন। সাবধান হোন অভিভাবকেরাও
Children Safety: মরশুম বদলের সময় আসতে না আসতেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কবলে বাড়ির খুদের। সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা যেন লেগেই আছে। খাওয়াদাওয়া, ওষুধপত্র সবই ঠিক মতো চলছে, তবু বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু, যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের।
হতে পারে অভিভাবকদের অসাবধানতা অথবা শিশুর রোজকার কিছু ভুল অভ্যাস যা তাকে ঘন ঘন অসুস্থতায় ফেলছে। তবে কীভাবে সচেতন থাকবেন, কী কী ভুল হচ্ছে জেনে রাখা ভালো অভিভাবকদের।
মরশুমি অসুস্থতার কারণ ও সমাধান
১। হাত-পা ভালোভাবে ধোয়ার অভ্যাস
অধিকাংশ ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায় স্পর্শের মাধ্যমে। তাই খেলাধুলা বা স্কুল থেকে ফিরে শিশুরা কতটা ভালোভাবে হাত-পা ধুচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করুন। শিশুকে শেখান— রাস্তা থেকে ফিরে, খাবারের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়ার গুরুত্ব।
২। অপরিচ্ছন্ন টয়লেট
রাস্তার বা স্কুলের শৌচাগার বেশিরভাগ সময়েই অপরিচ্ছন্ন হয়, সেখান থেকেই ছড়ায় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। সঠিক পরিচ্ছন্নতার অভাবে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা UTI -এর আশঙ্কা থাকে শিশু ও ছোটো স্কুল পড়ুয়াদের।
তাই ছোটদের শেখাতে হবে, কীভাবে টিস্যু পেপার ব্যবহার করবে, কমোডে বসার আগে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে বসবে, এমনকি পরিষ্কার থাকলেও টয়লেট সিটে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে করে বসা। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। স্কুলে সাবানের ব্যবস্থা না থাকলে সঙ্গে সোপ পেপার ব্যাগে দিয়ে দিন।
৩। খোলা খাবার
স্কুল হোক বা বাড়ি টিফিনের খাবার দীর্ঘ সময় খোলা থাকলে তাতে জীবাণু জন্মাতে পারে। আবার বাড়িতে খেয়াল করতে পারলেও স্কুলে বাচ্চা মাটি থেকে তুলে খাচ্ছে কিনা তা খেয়াল করা যায় না, এই অভ্যাস বিপজ্জনক।
শিশুকে কাঁচা স্যালাড দিলে সেই সব সব্জি বা ফল ভাল করে ধুয়ে দিতে হবে। ফল বা দই দিলে, কখন খাবে তা বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।
৪। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকা
শিশুরা অনেক সময়ই মুখ না ঢেকে হাঁচে বা কাশে, যা সংক্রমণ ছড়ানোর বড় কারণ। তাই মুখ ঢেকে হাঁচা-কাশার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার শেখান। খেয়াল রাখতে হবে, শিশু যেন বারে বারে মুখে বা নাকে হাত না দেয়। এর থেকেও জীবাণু খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৫। জাঙ্ক ফুড
বাইরের খাবারে 'না' বলতে শেখান। বায়না করলেও দেবেন না। চিপস, আইসক্রিম, শরবতের মতো রাস্তার অঢাকা অপরিষ্কার খাবারে জীবাণুর উপদ্রব বেশি। দরকারে ঘরেই বিকল্প হেলদি জলখাবার তৈরি করে দিতে পারেন।
৬। পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান
দিনের অনেকটা সময় স্কুলে থাকলেও বাচ্চা জল খাচ্ছে কিনা খেয়াল করুন। পর্যাপ্ত জল না খেলেই দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন, যার ফলে শিশুর ক্লান্তি, বমি ভাব, প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। শিশুকে বারবার জল খাওয়ার কথা বলুন। তার পছন্দের রঙিন বোতলে জল দিন, যাতে আগ্রহ বাড়ে।


