সংক্ষিপ্ত
বাচ্চা পড়াশোনায় ভালো হোক তা কোন মা-বাবা না চান। বাচ্চার বুদ্ধি তীক্ষ্ণ যাতে হয় সে কারণে কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশের জন্য অনেকে বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান তো কেউ সঠিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আজ রইল এক অবাক করা টিপস। রোজ সকালে এই ছয় কাজ করুন, সন্তানের ব্রেন হবে আইনস্টাইনের মতো।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চুপচাপ বসতে হবে। চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ডের জন্য গভীর শ্বাস নিতে হবে। ৪ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখুন। ৬ সেকেন্ডের জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। এতে মানসিক চাপ কমবে।
চোখের ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্তানের মাথা না ঘুরিয়ে চোখ বাম থেকে ডানে এবং ওপর থেকে নীচে সরান। এতে ভিজ্যুয়াল মেমোরি উন্নত হবে।
সন্তানের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে কিছু কঠিন শব্দ তাকে লিখতে বলুন। ১ মিনিট পর সেগুলো মনে করানোর চেষ্টা করুন। এটি স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি এবং প্রতিক্রিয়ার সময় উন্নত করে। ২ থেকে ৫ মিনিট এভাবে অনুশীলন করুন।
মাইন্ডফুল মেডিটেশন করাতে পারেন। এতে বাচ্চার চাপ ও উদ্বেগ কমে। একাগ্রতা বাড়ে।
প্রতিদিন সকালে ৫ মিনিট সময় বের করে সন্তানকে বাগানে খালি পায়ে হাঁটতে বলুন। স্ট্রেচিং করান। এতে শারীরিক ও মানসিক একাগ্রতা বাড়বে।
এরই সঙ্গে বাচ্চার খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রাখুন। বাচ্চাকে ভালো ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন। বাদাম, আখরোট খাওয়াতে পাকেন। তেমনই ব্লুবেরি, ডার্ক চকোলেট, ডিম, গ্রিন টি খাওয়ান। এতে বাচ্চার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি হবে। সঠিক সময় বাচ্চাকে খাবার খাওয়ান। তেমনই বাচ্চার ওপর ভুলেও কখনও চাপ দেবেন না। এতে তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। মেনে চলুন বিশেষ টিপস। নজর দিন বাচ্চার শরীরের দিকেও। শরীর সুস্থ থাকলে তবেই তার বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।