সংক্ষিপ্ত
ছেলে হোক বা মেয়ে - মায়ের ওপরই বেশি নির্ভর করে। সে চাকুরিরতা মা হোক বা হোমমেকার মা- ছোটবেলায় তাদের জীবনে শেষ কথা কিন্তু মা-ই বলে। তাই সন্তানের সাফল্যের সিঁড়ি হওয়ার জন্য মায়ের মধ্যে কতগুলি গুণ থাকাটা ভিষণ জরুরি।
সন্তানের জীবনে সুখের আর সাফল্যের করতে মায়ের ভূমিকা কিন্তু অনেকটাইই। কোনও কোনও অংশ বাবার থেকেও বেশি। যদিও একজন সফল সন্তানের জীবনে বাবা ও মা দুজনেরই গুরুত্ব সমান। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলে হোক বা মেয়ে - মায়ের ওপরই বেশি নির্ভর করে। সে চাকুরিরতা মা হোক বা হোমমেকার মা- ছোটবেলায় তাদের জীবনে শেষ কথা কিন্তু মা-ই বলে। তাই সন্তানের সাফল্যের সিঁড়ি হওয়ার জন্য মায়ের মধ্যে কতগুলি গুণ থাকাটা ভিষণ জরুরি। কারণ বর্তমান ব্যস্ততার সময় ও একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে যাওয়ার কারণে আপনার সন্তান কিন্তু অনেকটাই একা।
তাই প্রত্যেক মায়ের যে গুণগুলিকে রপ্ত করতে হবে তা হল-
সন্তানের কথা মন দিয়ে শোনা-
সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে - সে কী বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনতে হবে। ধৈর্য্য ধরে আগে সন্তানের কথা শুনুন। আর সেই সময়টা সন্তানের জায়গা রেখে দিন নিজেকে। তাহলে তার মত করে তার সমস্যা বুঝতে সুবিধে হবে। সন্তান কিছু বলতেই তাকে থামিয়ে দেওয়াটা কিন্তু ঠিক নয়। প্রয়োজনে ঘরোয়া কাজে সন্তানের মতামত গ্রহণ করুন। তবেই না যে পরবর্তী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সন্তানকে কখনই মানসিক চাপ দেবেন না
সন্তানের ওপর জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেবেন না। প্রয়োজনে তাকে বোঝান। তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে তার সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করুন। কিন্তু কখনই বকাঝকা করে তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবেন না। মারধর না করাই শ্রেয়। তাহলে সন্তান অপনার থেকে দূরে সরে যেতে পারে। বকাঝকা করলেই কিছুক্ষণ পরে সন্তানকে নিজের কাছে টেনে নিন। ভালবাসা আর আদর দিন। সন্তানের সঙ্গে মন কষাকষি না করাই শ্রেয়।
বন্ধু হয়ে উঠুন
বর্তমানে একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে গেছে। অধিকাংশ দম্পতিরই একটি কি দুটি সন্তান। তাই তারা অনেকটাই একা। দিনের অনেকটা সময় একা একা কাটায়। বন্ধুর সংখ্যাও কম। তাই আপনিই হয়ে উঠুন বন্ধু। তাঁর স্কুলের কথা কোচিং কথা জানতে চান। তার বন্ধুদের সঙ্গে তারই মাধ্যমে আলাপ করেনিন। তাহলে সন্তানকে বুঝতে আপনার অনেকটা সুবিধে হবে। প্রয়োজনে ছেলে বা মেয়ের বন্ধুদের ও তাদের মায়েদের নিয়ে আউটিং-এর প্রগ্রাম করতেই পারেন। এতে সময় ভাল কাটবে। জানতে পারবেন আপনার সন্তানের বন্ধুরা কেমন পরিবেশ থেকে এসেছেষ
সন্তানকে নিয়ে শপিং করুন
দুর্গা পুজো বা পয়লা বৈশাখের শপিং করুন সন্তানকে নিয়ে। তার মন বুঝে তারই মত জিনিস কিনে দিন। তাহলে আগামী দিনে তার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হবে। তাছাড়া কেনা করা করার মাধ্যমে অপরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলাও শিখবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় খএতে গেলে সন্তানকেই অর্ডার দিতে আর টাকা দিতে দিন। এভাবেই তাকে সাবলম্বী করে দিন।
সহানুভূতিশীল হন
সব মা-ই সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবুই এই দিকটা জোর দেওয়া জরুরি।সন্তানের আস্থা অর্জন করা খুব জরুরি। খেয়াল রাখবেন সে যেন আপনার থেকে কোনও কিছু না লুকিয়ে যায়।
কটাক্ষ করবেন না
সন্তানকে কখনই কটাক্ষ করবেন না। তুলনা টানবেন না অন্য বন্ধুদের সঙ্গে। তাহলে সন্তানের মধ্য হীনমন্যতা তৈরি হবে। কোনও ক্ষেত্রেই সে সাবলীল হতে পারবে না। তার নিজের গুণটা তুলে ধরতে পারবে না। সন্তানের কোনও দিকে ন্যাক আছে সেটা সামনে তুলে ধরা আপনারই কাজ। তাই কটাক্ষ করলে সন্তান নিজেকে ছোটবেলা থেকেই গুটিয়ে নেবে।