সংক্ষিপ্ত

পিরিয়ড হলেই শরীরে অস্বস্তি, শরীর দুর্বল, কোমর, তলপেটে ব্যথা এসব নিয়ে কাহিল হয়ে পড়েন। দিনের শেষে অফিস-পরিবার সব সামলেও অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে দিন কাটাতে হয় মেয়েদের।

পিরিয়ডস মানেই এখনও একটা ছুৎমার্গ। এটা বারণ ওটা বারণ লেগেই রয়েছে। নিয়মের এই বেড়াজালে এখনও জড়িয়ে রয়েছে মেয়েরা।প্রতিমাসে এই পিরিয়ডস-এর বেড়াজালে আটকে পড়েন আজকের সমাজের মেয়েরা । এখনও পুরোনো ধ্যান ধারণা থেকে সমাজ বেরিয়ে আসতে পারে নি। আর সেই নিয়ম কানুন মেলে চলছে নারীজাতির একাংশ। পিরিয়ড চলাকলীন যৌন মিলন করা উচিত কিনা , এই নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু লজ্জার কারণে এই নিয়ে অনেকেই মুখ খুলতে পারেন না। এই নিয়ে হাজার লোকের হাজারো মত, কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বা কী বলছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডস চলাকালীন প্রথম দুইদিন ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোটেরন কম পরিমাণে নির্গত হয়। পিরিয়ডসের তৃতীয় দিন থেকে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে যৌন মিলনে দেহে হরমোন নিঃসরণের কারণে পেটে ব্যথা অনেকটাই কম হয়। পিরিয়ডসের সময় মহিলাদের মুড সুইং হয়। বিশেষ করে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা তো অনেকেরই হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার মানসিক চাপ, অবসাদে ভুগে থাকেন। পেটে ব্যথা, হাতে-পায়ে ব্যথার কারণে মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সময়ে যৌন মিলন করলে মনও ভাল হয়ে যায়। পিরিয়ডস চলাকালীন সাধারণত মহিলাদের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে ভ্যাজাইনা লুব্রিকেটেড থাকে যার ফলে মিলন সুগম হয়।

 

 

 পিরিয়ড হলেই শরীরে অস্বস্তি, শরীর দুর্বল, কোমর, তলপেটে ব্যথা এসব নিয়ে কাহিল হয়ে পড়েন। দিনের শেষে অফিস-পরিবার সব সামলেও অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে দিন কাটাতে হয় মেয়েদের। ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লেই তখনই ব্যথার ওষুধ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।আর সহ্য করতে না পারলে ব্যথার ওষুধ তো রয়েইছে। এর সাইড এফেক্টও রয়েছে অনেক। পিরিয়ড চলাকালীন অসহ্য যন্ত্রণার অন্যতম বড় কারণ হল জরায়ু মোটা এবং আয়তনে বড় হয়ে যাওয়া। এর নাম অ্যাডেনোমায়োসিন। এর ফলে শরীরের মধ্যে নানা রোগ বাসা বাঁধে। এর মূল প্রভাব পড়ে জরায়ুতে। যরা ফলে পিরিয়ডে সমস্যা শুরু হয়। মাসিক শুরু হওয়ার আগে মেয়েদের যে শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, তার থেকে মুক্তি দেয় আদা। মাসিক শুরুর আগে টানা ৭ দিন আদার জল পান করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। আবার মাসিক চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই আদা। যাদের পিসিওএস -এর সমস্যা রয়েছে,তাদের জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার পান করা ভীষণ উপকারি। এটি খেলে নিয়মিত মাসিক হতে সাহায্য করে। এবং তলপেটের ব্যথায় মুক্তি মেলে।